২টি উদ্ভাবন কার্যকরী হোক
২টি উদ্ভাবন কার্যকরী হোক
বাংলাদেশকে বলা হয় অপার সম্ভাবনার দেশ। এই অপার সম্ভাবনার দেশে কেউ কেউ
দেশের উন্নতির জন্য নিরলস প্রয়াসী। তাদের প্রয়াসে দেশের জনগণ নতুন করে
স্বপ্ন দেখে, আশাবাদী হয়ে পথ চলে সফলও হচ্ছে। এমন কিছু প্রয়াস বা উদ্ভাবনের
মধ্যে ২টি বিস্ময়কর উদ্ভাবন হচ্ছে ১) কাসাভা আটা, ২) জ্বালানিবিহীন
বিদ্যুৎ।
কাসাভা আটা উদ্ভাবিত হয়েছে অতিসম্প্রতি। কাসাভা এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি একটি কন্দাল ফসল এবং তার ফলন হয় প্রচুর।
কাসাভা আটার উদ্ভাবক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার রাজশাহী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. শিরীনা বেগম। গুল্ম
জাতীয় উদ্ভিদ কাসাভার কন্দ থেকে উদ্ভাবন করেন এই আটা। কাসাভা আটার দাম
তুলনামূলক অনেক কম। আর আটার স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ মেট্রিক টন কাসাভা
উৎপাদিত হয়। এক কেজি কাঁচা কাসাভা কন্দ থেকে ৩৫০-৪০০ গ্রাম শুকনা আটা পাওয়া
যায়। সাধারণত রোপণের ৬ মাস থেকেই কাসাভা কন্দ আহরণ করা যায়। তবে
১০ মাস থেকে ১২ মাস বয়সে এটি সবচেয়ে মানসম্পন্ন। কাসাভা আহরণেও তেমন ঝামেলা
নেই। কন্দটি তুলে পানিতে ধুয়ে ছাল ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে রোদে
শুকিয়ে গমের মতো ভাঙিয়ে এটা তৈরি করা যায়। গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা
গেছে, রুটি ছাড়াও কাসাভা আটা থেকে অনেক প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরি করা
যায়। কাসাভা ফলনের উৎপাদন পরিমাণ এবং স্বাদ ও তার পুষ্টিমান বিবেচনায়
আমাদের পুষ্টিকর খাদ্য ঘাটতি পূরণে এটি একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন যা
বাংলাদেশের খাদ্য শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। কাসাভা গাছের জীবনীশক্তি
অত্যন্ত প্রখর। প্রচন্ড খরার মধ্যেও তা বেঁচে থাকে। এতেই অনুমেয় যে, এই গাছের ফলন কতোটা বলবান।
দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের বিজ্ঞানী নজমুল হুদা দীর্ঘ ৩৩ বছর গবেষণা করে উদ্ভাবন
করেছেন জ্বালানিবিহীন বিদ্যুৎ যা আজ সারাবিশ্বে স্বীকৃত ও আলোচিত একটি
বিষয়। যা দ্বারা আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার খুব সহজে সমাধান করা যায়। বিগত জোট
সরকারের আমলে উদ্ভাবিত এই বিষয়ে দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি
হয়েছে।
অথচ আমরা এই যুগান্তকারী উদ্ভাবনের সুফল থেকে আজো বঞ্চিত।
সুতরাং আমরাআশা করি, বর্তমান সরকার বিজ্ঞানী শিরীনা বেগমের
উদ্ভাবিত কাসাভা আটা এবং বিজ্ঞানী নাজমুল হুদার জ্বালানিবিহীন বিদ্যুৎ
উদ্ভাবনের প্রতি যথাযথ সম্মান দিয়ে তা দ্রুত কার্যকর ও সম্প্রসারিত করার
ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মো. জাকির হোসেন মিয়াজী,
আল-আমীন লাইব্রেরি, গৌরীপুর, কুমিল্লা।
Source: http://www.somewhereinblog.net
No comments:
Post a Comment