Tuesday, June 12, 2012

সাতক্ষীরায় ২ যুবকের উদ্ভাবন জ্বালানি খরচ ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন

সাতক্ষীরায় ২ যুবকের উদ্ভাবন জ্বালানি খরচ ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন

লিখেছেন: আখতারুজ্জামান

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
ডিজেল, ইঞ্জিন ওয়েল এবং পানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাতক্ষীরার দুই ‘বিজ্ঞানী’র এক দশকের প্রচেষ্টা অবশেষে সফল হয়েছে।
সার্কিট, ব্যাটারি, মোটর ও জেনারেটর দিয়েই এই বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট আবিস্কার করা হয়েছে। এটি চালাতে একটি টাকাও খরচ হবেনা। ডিজেল, ইঞ্জিন ওয়েল ও জনবল ছাড়াই এই প্ল্যান্টটি চালানো যাবে।
তরুণ দুজনের এই অভাবনীয় এ আবিস্কারের সফলতা প্রমাণ করতে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দেড়ঘণ্টা প্ল্যান্টটি চালিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
যারা এই সাফল্যের দাবিদার, তারা হচ্ছেন- সাতক্ষীরার সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের সিরাজুল মল্লিকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম বাবু মল্লিক ও তার সহযোগী একই এলাকার শামসুদ্দিন ঢালীর ছেলে মিজানুর রহমান মিজান। তারা পেশায় একজন দোকানদার, অপরজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
আবিস্কারকদের একজন তৌহিদুল ইসলাম বাবু মল্লিক জানান, এই বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি তৈরি করতে ১টি জেনারেটর, ২টি মোটর, ১২ ভোল্টের ১টি ব্যাটারি, ৪টি সার্কিট, ৩টা পুলি, ২টা বেল্ট, ১টা ফ্লাইবারসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘এই প্ল্যান্ট থেকে ৩ হাজার ৬০০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এর মধ্যে সরবরাহের সময় ২ হাজার ৮০০ ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। বাকি ৮০০ ওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের ব্যাটারি চার্জ ও সার্কিটগুলো সক্রিয় করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হবে। সরবরাহকৃত বিদ্যুতে ১০০টি ৩০ ওয়াটের এনার্জি সেভিং বাল্ব জ্বালানো সম্ভব হবে। এই বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার উপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে ব্যবহার করা হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি অটোস্টার্ট হয়ে যাবে। এই মেশিনে জ্বালানি হিসেবে কোনো ধরনের ডিজেল, ইঞ্জিন ওয়েল ও জনবল প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘এটি তৈরি করতে প্ল্যান্ট প্রতি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। পরীক্ষামূলকভাবে এই প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দেখাতে গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজারে সাড়ে ৫ ঘণ্টা একটানা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রত্যক্ষদর্শী সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন ওই দুই তরুণ।
তাদের আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদুল ইসলাম বাবু মল্লিক ও মিজানুর রহমান মিজান জানান, আগামীতে তাদের ১০ হাজার ওয়াটের বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে যেখানে একেবারেই বিদ্যুৎ নেই, সেখানে সুইচ চাপ দিয়ে এই মেশিন স্টার্ট করতে হবে।
তারা জানান, রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে কোনো ধরনের শব্দ ছাড়াই বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি কীভাবে স্টার্ট করা যায়, তা নিয়ে তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এই প্রচেষ্টা বাস্তবে রূপ নিলে দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে বলে আশা করছেন তারা। এ জন্য তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী খান মোক্তার আলী বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আবিস্কারকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। যদি এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে তাহলে আমাদের বিদ্যুৎ ঘাটতি কমানো যাবে।’
http://www.banglanews24.com/images/imgAll/2011September/satkhira-power-bg20110912132957.jpg

Source: www.sabujbanglablog.net

ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য না!
এখানে প্রথমে ব্যাটারী দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে।
একবার জেনারেটর চালু হওয়ার পর,ব্যাটারীর আর প্রয়োজন হয়না!
জেনারেটর থেকে যে বিদ্যুৎ তৈরী হয়, তার দুইটা আউটপুট লাইন থাকে।
একটা,  জেনারেটর এর সাথে লাগানো মোটরটা ঘুরায়, ফলে আরো বিদ্যুৎ তৈরী হয় এবং যা অবিরত চলতে থাকে। আর বাকী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউট করা যায়।
*************************************
এখানে মূল ব্যাপারটা হলো যে, সাধারনত ইঞ্জিন দিয়ে জেনারেটর চলে, আর একবার  জেনারেটর চালু হলে বিদ্যুৎ তৈরী হতে থাকে। এখন একবার  জেনারেটর চালু করে যদি এর বিদ্যুৎ এর একটা অংশ দিয়ে কোন মোটর চালানো যায় যার সাথে  জেনারেটর কাপ্লিং থাকবে, (ছবিতে দেখেন,  জেনারেটর এর সাথে বেল্ট দিয়ে দুইটা মোটর লাগানো আছে)  জেনারেটর ঘুরতে থাকবে, ফলে বিদ্যুৎ তৈরী হতেই থাকবে।
*************************************
যতক্ষন মোটর চলবে। ততক্ষন বিদ্যুৎ আসবে, এখানে ১০ ভোল্টের ব্যাটারী বিদ্যুৎ তৈরী করছেনা, শুধু  জেনারেটর এর সাথে বেল্ট লাগানো প্রথম মোটর টা ঘুরিয়ে, মোটর তার সাথে লাগানো  জেনারেটর কে প্রাথমিক ভাবে ঘুরাচ্ছে (যেমন, আমরা গাড়ীর ইঞ্জিন ব্যাটারী দিয়ে স্টার্ট দি)। আর একবার  জেনারেটর ঘুরলেই বিদ্যুৎ তৈরী হয়, তখন প্রথম মোটর এর কাজ থাকেনা, দ্বিতীয় মোটর  জেনারেটর ঘুরানোর দায়ীত্ব নেয়।

-

No comments:

Post a Comment