Tuesday, June 12, 2012

বিদ্যুৎ সমস্যা, আমাদের দায় ও করনীয়

বিদ্যুৎ সমস্যা, আমাদের দায় ও করনীয়

বিদ্যুৎ সমস্যা আমাদের জাতীয় সমস্যাসমূহের মধ্যে অন্যতম। লোডশেডিং প্রতিদিন আমাদের জীবনকে কি পরিমাণ দুর্বিসহ করে তোলে তা ভুক্তভূগী মাত্রই অবগত আছেন। বিদ্যুৎ সমস্যাকে ইস্যূ করে প্রতিদিন সরকারি দল ও বিরোধী দলের সভানেত্রীগণ, সভাপতিগণ থেকে শুরু করে নেতা-কর্মী, ও সমর্থকরা পর্যন্ত বক্তব্য, বিবৃতি ও অর্থহীন তর্কবিতর্কের মাধ্যমে পতিপক্ষের মুণ্ডপাত করেন। এতে সমস্যা সমাধান কতটুকু হয় তা সচেতন নাগরিকদের অজানা নয়। সে যাকগে, আমি আমার ব্লগে আমার প্রথম লেখাটা আমাকে বা আমরা যারা দেশকে ভালবাসি, মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আনন্দিত হই তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই লিখতে চাই।

আমরা যারা মনে করি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দায় একমাত্র সরকারের আমি তাদের সাথে একমত নই। আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা ভুলে গেলে চলবে না। বরং এ সমস্যার দায়দায়িত্ব কিছুটা হলেও আমাদের কাঁধে পড়ে বৈকি। প্রতিদিন আমরা বিনা প্রয়োজনে বাতি, পাখা, বৈদ্যুতিক চুল্লী চালিয়ে কত একক বিদ্যুৎ যে অপচয় করি হিসেব করলে দেখা যাবে তা নেহায়েত কম নয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যারা থাকি তাদের অনেকেই পাখা, বাতি চালু রেখে সকাল আটটায় পাঠকক্ষে চলে যাই আর ওগুলো সারাক্ষণ শুধু শুধু চলতে থাকে। অথচ আমাদের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দেশের সম্পদের ব্যাপারে হওয়া উচিত ছিল সবচেয়ে বেশি সচেতন। ইসলাম ধর্মের অন্যতম একটি কথা হচ্ছে অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই। তাই আসুন বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতাকে উপলব্ধি করি এবং নিচের কাজগুলো করার মাধ্যমে অন্তত কিছুটা হলেও বিদ্যুতের সাশ্রয় করি:

০১. বিনা প্রয়োজনে পাখা, বাতি, বৈদ্যুতিক চুল্লী চালু না রাখা,
০২. বাসা বা কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ওগুলোর চাবি বন্ধ করে যাওয়া,
০৩. কাপড় শুকানোর জন্য একান্ত প্রয়োজন না হলে বৈদ্যুতিক চুল্লী বা পাখা ব্যবহার না করা,
০৪. তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে শুধু বিলাসিতার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রক বা বাতাস ঠাণ্ডাকারী চালু না রাখা,
০৫. স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পূর্ণগতিতে পাখা চালিয়ে পুরো শরীর কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর মত বিলাসী অভ্যাস পরিত্যাগ করা,
এভাবে আরও অনেকভাবে আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারি। শুধু বিদ্যুৎ নয় একটু সচেতন হলে আমরা আমাদের আরও অনেক জাতীয় সম্পদ সাশ্রয় করতে পারি। সবাই এগিয়ে আসবেন কি? 

- মো: মোফাচ্ছির হোসেন 

http://www.somewhereinblog.net

No comments:

Post a Comment