Thursday, June 14, 2012

বিদ্যুতের বিকল্প উৎস!

বিদ্যুতের বিকল্প উৎস!

আল-আমিন হক | তারিখ: ০৩-০৪-২০১১

গ্রীষ্ম আসার আগে থেকেই বেশি বেশি জেনারেটর চালাতে হচ্ছে।

গ্রীষ্ম আসার আগে থেকেই বেশি বেশি জেনারেটর চালাতে হচ্ছে।
ছবি: সাজিদ হোসেন
‘শীতের সময় জেনারেটর কেনার ভাবনা ছিল না, কিন্তু গরম আসায় কিনতে হলো।’ বলছিলেন শ্যামলীর রিং রোডের বাসিন্দা নূর আলম।
নগরে গরম পড়তে শুরু করেছে, সঙ্গে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। লোডশেডিংয়ে বিদ্যুতের জোগান পেতে জেনারেটরের ওপর ভরসা করছেন অনেকে। তাই ভবনের নিচতলায় পানির পাম্পের পাশে ঠাঁই পাচ্ছে জেনারেটর। আবার নগরের অনেক দোকানের সামনে দেখা যাচ্ছে ছোট কিংবা মাঝারি আকারের জেনারেটর। গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে জেনারেটরের চাহিদাও বেড়েছে। এমনটাই জানালেন মিরপুরের শেওড়াপাড়ার জেনারেটর বিক্রেতা আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্রেতাই দোকানে ঢোকেন জেনারেটর কিংবা আইপিএস কিনতে।’
অন্যদিকে জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবসা করছেন কেউ কেউ। পুরান ঢাকার নয়াবাজারের তেমনি একজন মোহাম্মদ রবিন। তিনি এ ব্যবসা করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। একটি রুম ভাড়া নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবসা। রবিনের বেশির ভাগ গ্রাহকই দোকানি। তিনি জানান, একটি পাখা ও একটি লাইট জ্বালানো হলে তাতে এক পয়েন্ট ধরা হয়। তবে তাঁরা দুই পয়েন্টের নিচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন না। এর জন্য মাসিক বিল ধরা হয় ১৫০ টাকা। রবিন জানালেন, শীতকালে তাঁদের ব্যবসার চাহিদা কম থাকে। এখন চাহিদা বেশি। তবে লোডশেডিং বেশি বেশি হলে তাঁদের লাভ কমে যায়।

দূষণরোধের উপায়

লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর ব্যবহারকারীরা স্বস্তিতে থাকেন; কিন্তু কারও কারও জন্য তা বয়ে আনে ভোগান্তি। যেমন, দোকানের জন্য ব্যবহূত জেনারেটর রাখা হচ্ছে ফুটপাতের ওপর। তাতে পথচারীদের চলাচলে বাধা তৈরি করছে। নিউমার্কেটের সামনের রাস্তার দুই ধারে দেখা মেলে এ রকম অনেক জেনারেটর। যেগুলো রাখা হয়েছে ফুটপাতের ওপরই। জেনারেটর ফুটপাতের ওপর রাখা হয়েছে কেন, জানতে চাইলে ধানমন্ডির মিরপুর সড়কের মীর চশমা ঘরের স্বত্বাধিকারী সুমন রহমান বলেন, ‘কী আর করব, অন্য কোথাও তো রাখার জায়গা নেই।’
জেনারেটরের কান ফাটানো শব্দ পথচারী কিংবা প্রতিবেশীর জন্য দুর্ভোগ কারণ। এ ছাড়া অনেক ভবনের নিচের দিকে থাকা জেনারেটরের ধোঁয়ার নলটি রাস্তার দিকে থাকে। ফলে পথচারীদের ধোঁয়ার মুখে পড়তে হয়। ধোঁয়া এসে লাগে পথচারীর গায়ে। এক বাড়ির জেনারেটরের ধোঁয়া পাশের বাড়িতে চলে আসে।
জেনারেটরের শব্দ ও ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়) সুকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, যেখানে জেনারেটর বসানো হবে, সেখানে মোটা দেয়াল করা হলে শব্দ বাইরে কম হবে। উন্নতমানের জেনারেটর বসিয়ে এবং ধোঁয়ার চুল্লি ওপরের দিকে দিয়ে ধোঁয়ার দুর্ভোগ কমানো সম্ভব বলে তিনি জানান।


Source: http://www.prothom-alo.com

 

No comments:

Post a Comment