Wednesday, May 30, 2012

বায়ু বিদ্যুতের সার্বিক মূল্য- তুলনা অন্যান্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে ..

বায়ু বিদ্যুতের সার্বিক মূল্য- তুলনা অন্যান্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে ..
[ বায়ু-বিদ্যুৎ-এর সার্বিক উৎপাদন মূল্য নিরূপন করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের বায়ু-বিদ্যুৎ প্রকল্পকে সামনে রেখে । তুলনা করা হয়েছে কয়লা-বিদ্যুৎ এবং পারমানবিক-বিদ্যুৎ উৎপাদন মূল্যের সঙ্গে, ২০১০ খ্রী-র অর্থমূল্যে । ]
ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০১১ খ্রী-তে যুক্তরাজ্যের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ১০ শতাংশ উৎপাদিত হবে পূনর্নবীকরণ শক্তি উৎস থেকে । ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূনর্নবীকরণ শক্তি উৎস ব্যবহারের এবং যুক্তরাজ্য সরকারের কারবন-নিঃসরণ কমানোর নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই সবুজ-শক্তির অংশ বাড়ানো হবে ৩০-শতাংশ মতন, ২০২০ খ্রী-তে ।
পাশাপাশি, ২০১৫ খ্রী নাগাদ যুক্তরাজ্যের ১১.৪ গিগা-ওয়াট কয়লা- বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ২০২০ খ্রী-নাগাদ ৭ গিগা-ওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বি-নিযুক্তি করা হলে গ্রীডে এদের জন্য মোট ২৩ শতাংশ বিদ্যুৎ-সংযোগ কমে যাবে । প্রশ্ন থেকে যায় এর ফলে মেগা-ওয়াট প্রতি বিদ্যুৎমূল্য কত পরিবর্তিত হবে কয়লা-, গ্যাস- এবং পারমানবিক- বিদ্যুতের তুলনায় ?
বায়ু-বিদ্যৎ উৎপাদনের সার্বিক 'খরচ'
এটা নির্ভর করে চারটি উপাদানের উপর : বায়ুর গড় দ্রুতি, যন্ত্রপাতির মূল্য, অর্থলগ্নীর সর্ত, এবং পরিচালন ব্যয় । কোনও একটা মূল্য ধরে দেওয়া সহজ নয় ; অতএব সার্বিক উৎপাদন খরচা (generation cost)হিসাব করতে হলে এবং অন্যান্য উৎপাদন- প্রযুক্তির সঙ্গে তুলনা করতে হলে ওপরের চারটি উপাদানকে হিসাবে আনতে হবে, ( উদাহরণ-স্বরূপ, চিত্র ১ ) ।
[ প্রবন্ধে উৎপাদন 'খরচা' বলতে বোঝাচ্ছে সার্বিক উৎপাদনের জন্য খরচ, উৎপাদন 'মূল্য' বলতে বোঝাবে শুধু উৎপাদনের খরচ । ক্যাপিটাল খরচা প্রাথমিক ভাবে হল স্থাপনা-সহ যন্ত্রপাতির খরচ, তবে প্রকল্পের স্থান একটা বিশেষ উপাদান, বায়ুর দ্রুতি হিসাবে ধরলে সব থেকে ভালো স্থান হল বেশি মূল্যের । ]
বায়ুর দ্রুতি সম্পূর্ণভাবে স্থানের উপর নির্ভরশীল, এবং আর্থিক সর্তাদি(financial terms)নির্ভর করে সেই রাজ্যের প্রচলিত আর্থিক বিধিব্যবস্থার উপর যেখানে প্রকল্পটি রূপায়িত হচ্ছে এবং আংশিকভাবে প্রকল্প নিরূপকের উপর । কোনও স্থানের বায়ুর গড় দ্রুতির সঙ্গে একটা সোজাসুজি সম্পর্ক আছে সেই ফার্মের ধারণ-গুণনীয়কের(capacity factor)। আর্থিক খরচ ধরা হয়েছে অন্যান্য বিদুৎ-প্রকল্পের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, মূদ্রাস্ফীতি এবং ঋণশোধের সময়সীমা ধরে ।
বায়ু-বিদ্যুৎ প্রকল্পের খরচ তুলনা করা যেতে পারে জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবহৃত বিদ্যুতের সঙ্গে, যদি জ্বালানির মূল্য ধরা হয় । অবশ্য ভিন্ন প্রযুক্তির জন্য কিছু তফাৎ হবে যার জন্য পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ তাপীয় বিদ্যুতের ক্ষেত্রে হিসাব করা হবে মেগা-ওয়াট প্রতি, এবং সৈকতাশ্রয়ী বা সৈকত থেকে দূরের বায়ু বিদ্যুৎ হিসাব হবে বৎসরে কিলো-ওয়াট প্রতি ( সারণী ২ ) ।
সব ক্ষেত্রেই নূতন প্ল্যাণ্ট গণ্য করা হয়েছে যদিও এতে পারমানবিক-এর ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা হবে, যা' যথা সময়ে আলোচিত হবে ।
বর্তমান খরচ - সৈকতাশ্রয়ী বায়ু প্রকল্প
(ক) উপস্থাপনা খরচ :
যুক্তরাজ্যে অধুনা প্রকাশিত বায়ু-ফার্মের উপস্থাপন-মূল্য £ ১,২৫৯ কিলো-ওয়াট প্রতি থেকে £ ১,৫৭৩ যার ভারযুক্ত গড় হল ঢ ১,৩৩৪ প্রতি কিলো-ওয়াট । Department of Energy and Climate Change (DECC) -এর রিপোর্ট-এ ২০০৯-খ্রীর তথ্য হল £ ১,১৭২ - ১,৩২৯ / কিলো-ওয়াট । আমরা একটু উঁচু মূল্য £ ১,৬০০ / কিলো-ওয়াট ধরে অর্ধেকের কম £ ৬০০ / কিলো-ওয়াট ধরবো উৎপাদন-যন্ত্রের খরচ ।
নির্মাণকালের সুদ ( interest during construction ) -এর জন্য এক বৎসরের নির্মাণকাল ধরা হবে ।
(খ) পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ :
আমরা Ernst and Young (2007)-উদ্ধৃত মূল্যের ঊর্ধসীমা £ ৫৪ /কিলো-ওয়াট / বৎসর -টি নেবো । প্রচলিত প্রথানুসারে এতে স্থায়ী ও পরিবর্তনীয় (Fixed&variable) মূল্য -দুটিই ধরা আছে ।
বর্তমান খরচ - সৈকত থেকে দূরের বায়ু প্রকল্প
Ernst and Young (2009) প্রদত্ত খরচ হল £ ৩,২০০ / কিলো-ওয়াট । পরিচালন-ব্যয় সাধারণতঃ সৈকতের প্রকল্পের দ্বিগুণ, যা' থেকে অনুমান করা যায় উৎপাদন খরচাও দ্বিগুণ । উপস্থাপনার খরচ নির্ভর করে তীর থেকে সমুদ্রের কত ভিতরে এবং সেখানে জল কত গভীর । ইওরোপীয় খরচ হল £ ২,৫০০ - ৩,৬০০ / কিলো-ওয়াট ।
(গ) বিদ্যুৎ উৎপাদন
যদিও বায়ু-টারবাইনের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন, একটা সাম্গ্রিক বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করা সম্ভব যা' 'আউটপুট'-এর সঙ্গে দ্রুতির একটা সম্পর্ক নির্দেশ করে । ধারণ-গুণনীয়ক(capacity factor)যার অর্থ, গড় শক্তি / rated শক্তি, আউটপুটের পরিমাপ দেয় । এটা বায়ুর দ্রুতি এবং শক্তি উৎপাদনের মধ্যে একটি বন্ধনী । এই প্রবন্ধে ১৯ শতাংশ গুণনীয়ক নেওয়া হয়েছে- বায়ুর দ্রুতি ( বাৎসরিক গড় ) ৬ মিটার প্রতি সেকেণ্ডে ( যদিও বায়ুর দ্রুতি ৯ মিটার/ সেকেণ্ড হয় কখনও কখনও ৪০-শতাংশ ধারণ-গুণনীয়কে ) । এই গুণনীয়ক অন্তর্ভূক্ত করে যন্ত্রের প্রাপ্তব্য ক্ষমতা, বায়ু-ফার্মে বিভিন্ন আন্তর-যন্ত্রের শক্তি ক্ষয় এবং বৈদ্যুতিক শক্তি ক্ষয় ।
জীবশ্ম-জ্বালানী-চালিত প্ল্যাণ্টের উৎপাদন খরচ
গ্যাস-চালিত : স্থাপনা ও পরিচালন ব্যায়
মিলিত-চক্র(combined cycle)গ্যাস টারবাইনকে সাধারণতঃ ধরা হয় অন্যান্য প্রযুক্তির সঙ্গে তুলনার ক্ষেত্রে । মোট উৎপাদন ব্যয়ের দু-তৃতীয়াংশ আসে জ্বালানীর মূল্য থেকে ; গ্যাসের মূল্য ভবিষ্যতে কি হবে সেটা যখন কষ্টকল্পিত, স্থাপনা ও পরিচালন ব্যয় হিসাব করা শক্ত ।
কয়লা-চালিত প্ল্যাণ্টের উৎপাদন খরচ
যুক্তরাজ্যে কয়লা-চালিত প্ল্যাণ্টের বাজার বর্তমানে স্তিমিত । আন্তর্জাতিক খবরাখবর থেকে জানা যাচ্ছে ক্যাপিটাল মূল্য থাকে কিলো-ওয়াট প্রতি £ ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ -এর মধ্যে ; পরিচালন ও রক্ষনাবেক্ষণ মূল্য মেগা-ওয়াট প্রতি £ ৬ থেকে ৮, যন্ত্র চালু করতে লাগে ৪ বৎসরের মতন, এবং যুক্তরাজ্যে জ্বালানীর গড় মূল্য হল ( ২০০৯ খ্রী ) মেগা-ওয়াট প্রতি £ ৭.৫ ।
পারমানবিক প্ল্যাণ্টের উৎপাদন খরচ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংস্থা নূতন পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে । এদের বর্তমানের হিসাব এবং যুক্তরাজ্যের পারমানবিক-অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের পরামর্শ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সারণী ১ ।
তুলনায় একটা অসুবিধা হল ling lead time ।
জ্বালানির মূল্য মেগা-ওয়াট প্রতি ৬.২ পাউণ্ডের মতন এবং পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের মূল্য মেগা-ওয়াট প্রতি £ ৯ থেকে ১১, যার সঙ্গে অবশ্য decommissioning চার্জ যুক্ত করা উচিৎ । মনে রাখা দরকার, সাধারণতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে যুক্তরাজ্যের প্ল্যাণ্ট স্থাপনার খরচ বেশি ।
সারণী ১ : ২০১০ খ্রী-তে পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপনের আসল (capital)
মূল্যমান
উৎপত্তি- স্থল । পারমানবিক প্ল্যাণ্ট । স্থান-সহ । অন্যান্য আর্থিক খরচাপতি-সহ
Florida Power । 1,866-2,388 । 2,072-3,026 । 3,653-4,621
and Light
Progress Energy । । 2,310 । 4,223
South Carolina । । । 2,924
Electric
UK9 । । 3,300 ।

একত্রিত তথ্য :
সারনী ২ :
উৎপাদন-মূল্য নিরূপণের জন্য প্রাথমিক তথ্যগুলির একত্রীকরণ
প্রযুক্তি Capital cost । O&M Cost । O&M Cost । জ্বালানি মূল্য
£/KW £/KW/yr £/KWH £/MWH
গ্যাস ৬৫০ । । ৪ । ১৪
কয়লা ১৬৫০ । । ৭ । ৭.৫
পারমানবিক ২,০০০-৩,০০০ । । ৯-১১ । ৬.৫*
বায়ু -
সৈকতাশ্রিত ১,৩০০-১,৬০০ । ৫৪ । ।
বায়ু - সৈকত
থেকে দূরে ২,৫০০-৩,৬০০ । ৭৯ । ।
* পাওয়ার প্ল্যান্ট অপারেটরের নীট খরচা, গ্যাস ও কয়লার মত জ্বালানি-মূল্য নয় ।
অর্থনৈতিক পরিমিতি(Financial Parameters )
মূল দুটি অর্থনৈতিক পরিমিতি হল, পরীক্ষাকালের বাটা(test discount)এবং লগ্নী-অর্থের পুনঃপ্রাপ্তি-সময়(recovery time)। যুক্তরাজ্যের বর্তমান হিসান অনুযায়ী এগুলি ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১০-শতাংশ এবং ২০ বৎসর ।
পারমানবিক কেন্দ্রের সাধারণ plant-life ৪০ বৎসর ধরা হয় ; এর পক্ষে লগ্নী-অর্থের পুনঃপ্রাপ্তি-সময় কখনই ৪০ বৎসর হতে পারে না । ৪০ বৎসর ধরলে উৎপাদন-খরচ নেমে যাবে ১০-শতাংশ ।
কারবনের মূল্য
ইউরোপীয় কমিশনের নীতি অনুযায়ী গ্যাস- ও কয়লা-চালিত কেন্দ্রের ২০১০-খ্রীর আনুমানিক বাৎসরিক কারবন-মূল্য হবে ঢ ১২ / মেট্রিক টন CO2 । যুক্তরাজ্যের The Department of Energy and Climate Change (DECC) অবশ্য প্রস্তাব করেছে মেট্রিক-টন-প্রতি ঢ ২৬ ।
উৎপাদন খরচের তুলনা
চিত্র ১ : উৎপাদন-খরচা- সৈকত থেকে দূরে বায়ু প্রকল্প, তুলনায়
পারমানবিক, কয়লা এবং গ্যাস প্রকল্প.
উপরে গৃহীত অনুমিতি অনুসারে, সৈকতাশ্রিত বায়ু প্রকল্পে,
(ক) বিদ্যুতের মূল্য হবে ঢ108/MWh-এর কিছু বেশি, যখন capital cost £
১,৩০০ / কিলূয়াট : এমন স্থানে যেখানে বায়ুর গড় দ্রুতি ৬.৫ মিটার প্রতি
সেকেণ্ডে ;
(খ) (ক)-এ বর্ণিত বিদ্যুতের মূল্য কমে দাঁড়াবে £67/MWh-তে এমন স্থানে
যেখনে বায়ুর দ্রুতি ৯ মিটার প্রতি সেকেণ্ডে ।
(গ) capital cost £ ১,৬০০ / কিলো-ওয়াট হলে, বায়ুর দ্রুতি ৭.২৫ মিটার প্রতি সেকেণ্ডে
বিদ্যুতের মূল্য দাঁড়বে £104/MWh, যা কমে হবে £72/MWh-
যখন দ্রুতি ৯ মিটার প্রতি সেকেণ্ড ।
(ঘ) ২০০৮ খ্রী-তে যুক্তরাজ্যে গড় ধারণ-গুণনীয়ক হয়েছিল ২৯.৪ শতাংশ ।
এই অবস্থায় capital cost £ ১,৪৫০ / কিলো-ওয়াট-এ বিদ্যুতের মূল্য হচ্ছে
প্রায় £90/MWh ।
অন্যদিকে, ২০০৯-খ্রীতে যে জ্বালানি-মূল্য ও কারবন-মূল্য ছিল তা'তে,
(ক) গ্যাস-চালিত প্ল্যাণ্টের বিদ্যুতের মূল্য ছিল প্রায় £49/MWh ;
(খ) কয়লা-চালিত প্ল্যাণ্টের ক্ষেত্রে প্রায় £69/MWh ;
(গ) পারমানবিক প্ল্যাণ্টের ক্ষেত্রে £57/MWh থেকে £86/MWh ।
এইসব তথ্য যুক্ত করে ( চিত্র ১ ) আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পারমানবিল এবং সৈকতাশ্রিত বায়ুর উৎপাদন খরচা একই সীমার মধ্যে রয়েছে ।
বায়ুর খরচ কয়লার থেকে সস্তা- যখন দ্রুতি ৮ মিটার/সেকেণ্ড (£১,৩০০ / কিলো-
ওয়াট -এ )-এর উপরে অথবা ৯ মিটার / সেকেণ্ড ( £১,৬০০ / কিলো-ওয়াট -এ ) । গ্যাস ( ২০১০ খ্রী )-র খরচা বর্তমানে বায়ুর থেকে কম ।
চিত্র ২ : সৈকত থেরে দূরের বায়ু প্রকল্পের উৎপাসন খরচ- যখন স্থাপনা
মূল্য £ ৩,৬০০ এবং £ ২,৫০০-র মধ্যে |
সৈকত থেরে দূরের বায়ু প্রকল্পের উৎপাসন খরচ ( চিত্র ২ ) £ ৩,৬০০ স্থাপনা মূল্যে £ ১৯০ / মেগা-ওয়াট- ঘণ্টার কম ( বায়ুর দ্রুতি ৮ মিটার / সেকেণ্ড ) যা' কমে হবে প্রায় £ ১৩৩ / মেগা-ওয়াট-ঘণ্টা ( বায়ুর দ্রুতি ৮ মিটার / সেকেণ্ড ) । £ ২,৫০০ / কিলো-ওয়াটে, খরচ প্রায় £ ১৬০ / মেগা-ওয়াট-ঘণ্টা ( দ্রুতি ৭.৫ মি/সেক ) থেকে কমে হয় £ ১০৬ /মেগা -ওয়াট-ঘণ্টা ( দ্রুতি ৯.৫ মি / সেক ) । গড় ধারণ-গুণনীক ৩৫ শতাংশে ( ২০০৮ খ্রী ), উৎপাদন খরচ হয় প্রায় £ ১৬০ / মেগা- ওয়াট-ঘণ্টা যখন স্থাপনা মূল্য £ ৩,২০০ প্রতি কিলো-ওয়াটে । ( Ernst and Young)

সংবেদনা(sensitivity )
এই ধরণের খরচের তুলনার মুখ্য অনিশ্চয়তা হল জ্বালানীর মূল্য । বিভিন্ন বিভিন্ন দৃশ্যপটে বেশ প্রশস্ত পরিসরে জ্বালানি-মূল্য নিয়ে গবেষণা করেছেন ফগOfgem, Project Discovery --তে এবং DECC, Analytical Annex to the Renewable Energy Strategyতে । আগামী দশ বত্সরে কয়লা, গ্যাস এবং কারবনের মূল্যে দ্বিগুণ হবার সম্ভাবনা নেহাত্ চরম ঘটনা নয় । এটা হলে গ্যাস-চালিত বিদ্যুত্-উত্পাদনের খরচ দাঁড়াবে প্রায় মেগা-ওয়াট প্রতি £ ৮১ এবং কয়লা-চালিতের খরচ- প্রায় মেগা-ওয়াট প্রতি £ ৯৭ । অবশ্য বায়ু-প্ল্যাণ্টের মূল্য ঐ সময় কিছুটা বাড়বে ।
সৈকতের দূরবর্তী বায়ু-প্রকল্পগুলির বর্তমান খরচ বেশি, কিন্তু শিল্পের পূর্ণ অবস্থা-প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে স্থাপনা-খরচ কমে যাবে ।
সাধারণ মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে পারমানবিক সহ বায়ু-র মূল্যবৃদ্ধি হবে মোটামুটি একই হারে । উপরের নিবন্ধে পারমানবিক ক্ষেত্র ও বায়ুর বিষয়ে একই 'বাটা'(discount rate)ধরা হয়েছে পরীক্ষামূলত চালনার সময়ে । এটা বলা যায় পারমানবিক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকি দাবি করবে অতিরিক্ত বাটা । সে ক্ষেত্রে বায়ু-র অবস্থা আরও তুলনামূলক    হবে ।

উপসংহার
উপরে বর্ণিত আলোচনা থেকে এই উপসংহারে আসা যায় যে, বায়ু-বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ যদিও গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ-উৎপাদনের থেকে বেশি, অদূর ভবিষ্যতে এটা প্রতিযোগিতা-মূলক হবে, কারণ সর্বাদি-সম্মত মত এই যে জীবাশ্ম-জ্বালানির মূল্য ভবিষ্যতে আরও অনেক বাড়বে । সৈকতাশ্রিত বায়ুপ্রকল্পের খরচ বর্তমানে কয়লা-বিদ্যুতের কাছাকাছি, বায়ুর দ্রুতি যখন ৮.৫ মিটার / সেকেণ্ড বা তার বেশিতে এবং কারবন-মূল্য এই তথ্যকে আরও জোড়দার করবে । পারমানবিক প্ল্যাণ্টের খরচা কিছুটা অনিশ্চিত, তবে কিলো-ওয়াট প্রতি £2,000
-র তলায় খরচ হলে এটা সৈকতাশ্রিত বিদ্যুতের সঙ্গে পাল্লা দেবে । কিলো-ওয়াট প্রতি £3,300 -এ সৈকতাশ্রিত বিদ্যুৎ সস্তা যদি বায়ুর দ্রুতি ৭.৮ মিটার / সেকেণ্ড-এর কাছাকাছি ( ধারণ-গুণনীয়ক ৩১ শতাংশের মতন ) হয় । অবশ্য ঝুঁকি 'প্রিমিয়াম'(risk premium)যুক্ত করলে বায়ুর অবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে ।
- শঙ্কর সেন

Source: http://www.abasar.net

উল্লেখ্য
১. Ernst and Young, 2007, Impact of Banding the Renewables Obligation –Costs of Electricity Production. URN 07/948.
২. Department of Energy and Climate Change, 2010, Quarterly Energy Prices, March.
৩. Department of Energy and Climate Change, 2009, Analytical Annex to the Renewable Energy Strategy.
[ উৎস : RenewableUK, June, 2010, Fact sheet no.4;www.renewable-uk.com

Thursday, May 24, 2012

বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে তৈরি হচ্ছে বাতাসের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র

বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে তৈরি হচ্ছে বাতাসের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র

২০ শে এপ্রিল, ২০১১

 দেশের জ্বালানি সংকট উত্তরণে ২০১৫ সালের মধ্যে বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ১শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আর সে কারণে বিভিন্ন উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ কত, তার পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র (উইন্ড ম্যাপ) প্রয়োজন। কিন্তু দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বায়ুর বেগ পুরোপুরি জানার পরিপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে নেই। তাই সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথমবারের মতো দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বাতাসের গতিবেগ বিষয়ক একটি পরিপূর্ণ মানচিত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে ২ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে গত মাসে প্রায় ৮ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে । এ প্রকল্পের আওতায় উপকূলে প্রায় ৫০ কিলোমিটারব্যাপী ১শ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগের পরিমাপ নেয়া হবে। এজন্য ২ কি.মি. পরপর উঁচু টাওয়ার স্থাপন করা হবে। এক বছর ধরে প্রতিদিনের ডাটা সংগ্রহ করা হবে। পরে সফ্টওয়্যারের সহায়তায় একটি আধুনিক বায়ু মানচিত্র তৈরি করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে আরো একটি ছোট প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে। এজন্য এডিবি প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিবে।
অন্যদিকে সরকারি উদ্যোগে বাতাসের মানচিত্র তৈরির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বলেছে। এ বিষয়ে পিডিবি'র চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবীর শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, সরকারি অথবা বেসরকারি যেভাবেই হোক বায়ুচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাতাসের একটি পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রয়োজন। এটা না হলে কোনো ব্যক্তি এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে না। তিনি জানান, উইন্ড ম্যাপিং-এর জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ জানতে ইওআই (এঙ্প্রেসন অব ইন্টারেস্ট) আহ্বান করেছে পিডিবি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ৩ বার কাজ হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটি ম্যাপিং করেছে। এ ম্যাপিংগুলোতে সর্বোচ্চ ৩০ মিটার পর্যন্ত গতিবেগের পাঠ নেয়া হয়েছে, যা বায়ুচালিত বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পর্যাপ্ত নয়।
ছাড়া ছাড়াভাবে করা এসব ম্যাপিং দিয়ে দেশের বায়ু বিদ্যুতের প্রকৃত সম্ভাবনা জানা সম্ভব নয় বলে শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন। তিনি বলেন, কারো মতে দেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা নেই। আবার কেউ বলেন প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। একটি পরিপূর্ণ উইন্ড ম্যাপ থাকলে এটা স্পষ্ট বলা সম্ভব হতো বাংলাদেশে কতটুকু বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, কোন কোন অঞ্চল বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভালো।
বর্তমানে দেশে ২টি বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১শ কিলোওয়াটের একটি ফেনীতে। অন্যটি কুতুবদিয়ায়, যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ মেগাওয়াট। তবে কারিগরি ত্রুটিসহ নানা কারণে এ কেন্দ্র দুটি এখন বন্ধ রয়েছে। 

Source: অনন্ত সুমন

www.somewhereinblog.ne

Monday, May 21, 2012

কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা

কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা 
Saturday, 05 September 2009

স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে প্রবাহিত বাতাসকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কুতুবদিয়ায় অবসি'ত ১ মে.ও. ক্ষমতা সম্পন্ন বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের সফলতার পর প্রকল্পের পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান কক্সবাজার শহর, সেন্টমার্টিন, মগনামা ও মহেশখালীসহ জেলার পুরো উপকূলীয় এলাকাকে বায়ু বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার স্বপ্ন দেখছেন। তবে এজন্য দরকার পৃষ্ঠপোষকতা। বায়ু বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা দেখতে সম্প্রতি কুতুবদিয়া পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ বাস্তবায়নকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে বছরের অধিকাংশ সময়ই বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকে। এই বাতাসকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার শহর তথা উপকূলীয় এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। এতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন-মান ও অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাতাসের গতি প্রবাহ একই রকম। কিন' ভারত তাদের বাতাসকে কাজে লাগিয়ে ১২০০ মে.ও. বায়ু বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে। বাংলাদেশও একই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাতাসকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। তার মতে, বাংলাদেশ উপকূলের সরল রৈখিক দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৪০ কি.মি। আর আকাঁবাকাঁ প্রায় ১২০০ কি.মি.। এসব এলাকার ১০ কি.মি. ভেতরে পর্যন্ত বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকে। তাই বিশাল এই উপকূলীয় এলাকার বাতাসকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায়। ফজলুর রহমানের মতে, কুতুবদিয়ায় ১ মে.ও. বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে যথাযথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এবং এর সুফলও কুতুবদিয়া বড়ঘোপ এলাকাবাসী ভোগ করছে।
পুরো জেলার উপকূলীয় এলাকার বাতাসকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান চাহিদার চেয়েও বেশি বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। কক্সবাজারের বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা ৪০-৪৯ মে.ও.। আর বরাদ্দ পায় মাত্র ১২-১৮ মে.ও.। বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হলে বর্তমান চাহিদা পুরণ করে নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হবে।
কক্সবাজার যেহেতু প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবণ এলাকা। তাই বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প টিকিয়ে রাখা কষ্ঠসাধ্য। তবে কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালকের মতে, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর নার্গিস, সিডর, বিজলী ও আইলার আঘাত সহ্য করে সামান্য ক্ষতি হলেও এখনও টিকে আছে। তবে বেঁড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস' হওয়ায় পুরো প্রকল্প এলাকা হুমকির সম্মুখীন। তাই বেঁড়িবাধ সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগেও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব। কক্সবাজার তথা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার বাতাসের গতিকে কাজে লাগিয়ে যে সম্ভাবনার হাতছানি তা কাজে লাগানোর সময় এখনই।
প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ২৫ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ২৫০ কি.ও. বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম মাঝারী ধরণের বায়ুকল চালানোর জন্য যথেষ্ট। ৫০ মিটার উচ্চতায় ২৫ কি.ও. থেকে এক মে.ও. ক্ষমতা সম্পন্ন বড় ধরণের কল স্থাপন সম্ভব।
বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কুতুবদিয়ার পাইলট প্রকল্প পরিদর্শন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কমিটির সভাপতি কর্ণেল (অব:) অলী আহমদ বীর বিক্রম প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী উন্নত দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেন। সফরকালে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান এমপি, নজরুল ইসলাম এমপি, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।
Source: http://www.thecoxnews.com

Thursday, May 17, 2012

বিকল্প শক্তি: সাইকেল দিয়ে বিদ্যুতের ফ্যাক্টরি: ১৫ মিনিটে দশ ওয়াট সাইকেল চালিয়ে!

বিকল্প শক্তি : সাইকেল দিয়ে বিদ্যুতের ফ্যাক্টরি : ১৫ মিনিটে দশ ওয়াট সাইকেল চালিয়ে!

-৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল


আমি বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই মজার আইডিয়াটি পোষণ করছি। তাহলো, বাংলাদেশে কাজের লোকের চেয়ে অকাজের এবং নিষ্কর্মা ভিক্ষুকের সংখ্যা বেশি। অপরদিকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে গ্রামের চাষা, দিনমজুর, গার্মেন্টস কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। দেশের চাহিদা হয়তো ৩০০০মেগাওয়াট আর মাথামোটা জোচ্চোরগুলো সবে পরিকল্পনা করছেন এক কি দুহাজার মেগাওয়াট আরো বাড়াবেন। তাও কবে নাগাদ তা উৎপাদনে যোগ হবে আমরা নির্দিষ্ট করে জানিনা।

আমার মজার পরিকল্পনাটি আমার কাছের বন্ধুরা জানেন। আমিও এই খবরটির মতো সাইকেলের প্যাডেল দিয়ে শত শত জেনারেটর চালিয়ে শত-সহস্র অকাজের, বেকার, নেশাকারি ইত্যাদি এবং অফিসের বড় বাবু (যাদের ব্যায়ামের অভাবে পেট বেড়ে যাচ্ছে) তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিয়োজিত করতে হবে এধরণের আইডিয়া ধারণ করে যাচ্ছি।

সাইকেলের প্যাডেলের মতো এসব যন্ত্রগুলো গার্মেন্টসের মতোই অনেক অনেক পরিমানে লাগানো যেতে পারে। যেভাবে বিস্তর পরিমান লোক কাজ না করে দিন কাটায় তাতে এভাবেই হয়তো দেশের বিশাল চাহিদা মিটতে পারে। বন্ধুদের অনেকেই অবশ্য আমার এই আইডিয়াতে হেসেছিল। আজকে প্রথম আলোতে খবরটি দেখে অফিস যাবার আগে এটি পোস্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না

= লেনিন'

Source: http://www.somewhereinblog.net

Wednesday, May 16, 2012

বিস্ময়কর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্ভাবন

বিস্ময়কর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্ভাবন
 

মহাজাগতিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক বিস্ময়কর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ এফ কামাল। এই অত্যাশ্চর্য আবিষ্কারে অভিভূত হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করে আবিষ্কারকের কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী শিল্পপতি-উদ্যোক্তারা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজসহ (সিসিসিআই) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার উদ্ভাবিত বিশেষ বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছে। প্রকল্পটির মধ্য দিয়ে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জ্বালানি সংকট নিরসনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইঞ্জিনিয়ার ড. আহমেদ এফ কামালের এই বিশেষ বিদ্যুৎ প্রকল্পের অন্যতম বিশেষত্বগুলো হলো- এটি পরিবেশবান্ধব, এতে ধোঁয়া, শব্দ, ক্ষতিকারক বর্জ্য বা তেজষ্ক্রিয়তা নির্গমন হয় না, এ থেকে সারা বছর একই হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, এটিকে সহজে এবং নামমাত্র খরচে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় এবং স্থাপনের জন্য অত্যন্ত স্বল্প স্থানই যথেষ্ট। তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এটি নিয়মিত কোনো জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা বা তেজষ্ক্রিয়তা পদার্থ) অথবা প্রাকৃতিক শক্তি (পানি, বাতাস বা সৌররশ্মি) ছাড়াই কেবলমাত্র চৌম্বকক্ষেত্রে তরঙ্গের পর্যায়ক্রমিক বিবর্তনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সুতরাং উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের তহবিলে মুনাফা হিসেবে জমা হবে।
সদ্য মার্কিন মুলুক থেকে ফেরা পারড়ু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে কম সময়ে ব্যাচেলরস ড. আহমেদ এফ কামাল জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে তার এই প্রকল্পের মাধ্যমে অভাবনীয় ব্যয় হ্রাসের সুযোগটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে দেশে নিকট ভবিষ্যতেই বিদ্যুতের দাম কমবে, চাহিদাও মিটবে সহসাই। উপরন্তু বিদ্যুতের বহুমুখী ব্যবহার ও জাতীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে আয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকা। সিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বন্দর আসনের এমপি এম এ লতিফ বলেন, ড. আহমেদ এফ কামাল উদ্ভাবিত প্রকল্পটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের জন্য সিসিসিআই প্রস্তাব দিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে এটি সম্ভব হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশিষ্ট গবেষক নাসিমুল কামালের ছেলে আহমেদ এফ কামাল। ছেলের এই উদ্ভাবনের বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি জানান, ড. আহমেদ তার আবিষ্কারের ওপর পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক সাময়িকী 'নেচার'-এর জন্য একটি প্রবন্ধ রচনা করছেন। উল্লেখ্য, নেচার সম্পাদক এবং লেখকরা সবাই পরবর্তীকালে পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল কিংবা সমকক্ষ পুরস্কার পেয়েছেন। ড. আহমেদ সেই সফল বিজ্ঞানীদের একজন যারা তাত্তি্বক এবং ব্যবহারিক দুই ধরনের গবেষণাই করেছেন। তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গসহ পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং প্রকৌশলবিদ্যার বহু শাখায় তার মৌলিক গবেষণা রয়েছে। তার অন্যান্য আবিষ্কারের বিবরণ ইন্টারনেটে নাসা এবং বেল ল্যাবরেটরিসহ বহু বিশ্বখ্যাত সাইটে পাওয়া যায়। প্রচারবিমুখ ড. আহমেদ থ্রিডি ইমেজ প্রসেসিংয়ের অন্যতম আবিষ্কারক (যা চিকিৎসা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনকারী এবং বহু জীবন রক্ষাকারী এমআরআই, সিটিস্ক্যান, ত্রিমাত্রিক সার্জারি জাতীয় প্রযুক্তিসমূহের এবং থ্রিডি টেলিভিশনের সূচনা করেছে) এবং থ্রিজি-ফোরজি টেলিকমিউনিকেশন্সের অন্যতম প্রবক্তা (যা পৃথিবীকে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের বর্তমান থ্রিজি-ফোরজি সংস্করণগুলোর দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়েছে)। কিংবদন্তি আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফেনীর গভর্নর মরহুম খাজা আহমেদ এমপির নাতি ড. আহমেদ । অধ্যয়ন করেছেন আমেরিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তিনি পারড়ু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বকালের সবচেয়ে কম সময়ে ব্যাচেলরস, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে আরেকটি মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, ফলিত গণিত এবং আইসিটিতে বিশেষজ্ঞতা লাভ করেন। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই তিনি গবেষক, অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান পদে আমেরিকায় এবং বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন।


জ্বালানিবিহীন বিদ্যুৎ

জ্বালানিবিহীন বিদ্যুৎ 

ঢাকা রিপোর্ট ডট কম, বিজ্ঞানডেস্ক (১৬ জুলাই): প্রাকৃতিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি 'বোরাক' কোনো প্রকার জ্বালানি ছাড়াই বছরের পর বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম বলে জানালেন নতুন উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির উদ্ভাবক মোহাম্মদ আল-আমীন।

আজ শনিবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে এমনই দাবি করেন তিনি।

আল-আমীন জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে ধারাবাহিক গবেষণার পর সম্প্রতি তিনি এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হন। যা দিয়ে ঘর গৃহস্থলির চাহিদা পূরণ করে চালানো যাবে শিল্প-কারখানাও।

প্রযুক্তির বর্ণনায় তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক ও চৌম্বকীয় শক্তির আন্ত:সম্পর্ক এবং ওজন ও গতির সংমিশ্রনের এই 'বোরাক' প্রযুক্তিটি তৈরী। 'বোরাক' প্রযুক্তি 'ক' 'খ'ও 'গ' এই ৩টি ইউনিটে বিভক্ত। 'ক' ইউনিট সাধারণ ও প্রচলিত প্রযুক্তির মিশ্রনে তৈরি, উৎপাদন ক্ষমতা সাধারণ। 'খ' ইউনিট সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাপক এবং 'গ' ইউনিট অফুরন্ত বিদ্যুৎ শক্তির আধার।
এসময় এই প্রযুক্তির ভিডিও ক্লিপস দেখিয়ে বর্ণনা করেন, পদ্ধতিটিকে একবার শক্তি দিয়ে নির্দিষ্ট গতির অবস্থানে তুলে দেয়া হলে সে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ নিজেকে সক্রিয় করার কাজে ব্যবহার করে অবশিষ্টাংশ সরবরাহ করতে পারবে। এটি একবার চালু করার পর আর কোনো জ্বালানির প্রয়োজন হবে না।

প্রযুক্তিটিকে বেশ সহজ, সস্তা ও নিরাপদ দাবি করে তিনি বলেন, ১০ মেগাওয়াট একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২ কোটি টাকা খরচ হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রসারের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা নিরসনে সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতাও কামনা করেন তিনি এসএস রিসার্চ পরিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে  

Source: http://dhakareport24.com,
16th July, 2011

পাখাবিহীন ফ্যান

পাখাবিহীন ফ্যান
   
ডাইসন এয়ার মাল্টিপ্লায়ার ফ্যান কোম্পানি' পাখাবিহীন ফ্যান আবিষ্কার করেছে। সম্প্রতি এ ফ্যান বাজারে এনেছে কোম্পানিটি। সম্পূর্ণ পাখাবিহীন 'লার্জার ডায়ামিটার', 'টাওয়ার ফ্যান' এবং 'পেডাসটাল' নামে তিনটি মডেল প্রাথমিকভাবে তৈরি করেছেন। এ ফ্যানগুলো পরিষ্কার করা খুব সহজ। এছাড়া প্রচুর বায়ুপ্রবাহ তৈরিতেও সক্ষম।

জানা গেছে, ডাইসন এয়ার মাল্টিপ্লায়ার ফ্যান কোম্পানির তৈরি এসব ফ্যানের ব্রাশবিহীন মোটর থেকে বায়ুপ্রবাহ তৈরি হয়। এই মোটর পাখার বদলে গোলাকার একটি চাকতির মধ্যে ঘুরতে থাকে। পাখাবিহীন এ ফ্যানে আছে ডিমার সুইচ কন্টোল। কোম্পানির দাবি, ফ্যানের পাওয়ার কন্ট্রোল করা হয় এ সুইচের মাধ্যমে। এর ফলে ফ্যানের বাতাস খুবই আরাম দায়ক হয়। ১০ ইঞ্চি টেবিল ফ্যানের দাম ৩০০ ডলার এবং ১২ ইঞ্চির দাম ৩৩০ ডলার। অন্যদিকে ৩৯.৬৫ ইঞ্চি লম্বা টাওয়ার ফ্যানের দাম ৪৫০ ডলার ও ৪৬.৭৭ থেকে ৫৫.৪৩ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় করার অপশনসহ পেডাসটাল ফ্যানগুলোর দাম ৫০০ ডলার।
Source: Daily Bangladesh-pratidin

Tuesday, May 15, 2012

বিদ্যুৎ ব্যাবহারে সাশ্রয়ী হন খরচ কমান।।

বিদ্যুৎ ব্যাবহারে সাশ্রয়ী হন খরচ কমান।। 
by Shahadat Hussain Parvez

আমাদের  দেশে বিদ্যুৎ সঙ্কট  প্রবল । এর  জন্য কিন্তু আমাদের  অনেক  দুর্ভোগ পোহাতে হয়।  কিন্তু আমরা চাইলে এটাকে কিছু পরিমাণে লাঘব  করতে পারি । আপনারা নিশ্চয়ই  মনে মনে বলছেন ‘কীভাবে’? তাহলে পড়তে থাকুন।
আমরা  দৈনন্দিন  জীবনে বিদ্যুৎ  ব্যবহারে এতটা  সাশ্রয়ী  থাকিনা । আমরা মনে করি এটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয়করে লাভ কি ? মনে করুন  আপনি আপনার  একটি রুম  আলোকিত  করতে ১০০ ওয়াট  বাল্ব (অনেকেই আদর  করে হলুদ  বাতি বলে ) ব্যবহার  করছেন। কিন্তু আপনি চাইলেই  একটি ১৭ ওয়াট  CFL (অনেকেই  এনার্জি বাল্ব  বলে ডাকে ) বাতি দিয়ে সেই কাজ  সারতে পারেন। অনেকেই  তা করেন  না ,কারন একটি ১০০ ওয়াট  বাল্বের  দাম  ২৫ টাকা আর  একটি ১৭ ওয়াট  CFL এর দাম  ২০০ টাকা।কিন্তু একটু ভালোভাবে চিন্তা করে দেখুন  একটি ১০০ ওয়াট  বাল্ব  সারা মাস  জ্বালালে আপনার  বিল আসবে ৬০ টাকা আর  একটি ১৭ ওয়াট  CFL জ্বালালে বিল  আসবে ১০ টাকা । এভাবে আপনার  মাসে ৫০ টাকা সাশ্রয় হলে ৪ মাসে CFL এর দাম  উঠে আসে । তাইলে সর্বশেষে আপনার ই লাভ  হচ্ছে।
একই  ভাবে আপনি যদি আপনার  বারান্দার  বাতি, টিভি,  ফ্রিজ  এবং অন্যান্য  বৈদ্যুতিক  সরঞ্জাম সব সময় না জ্বালিয়ে শুধু সময়  মতো জ্বালান  আপনার  বিদ্যুৎ  বিল  অনেক  কম  আসবে এবং দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা লাঘবে আপনি ও  এগিয়ে আসলেন।
আপনি যদি আপনার  ফ্রিজ  ২৪ ঘণ্টা না জ্বালিয়ে দিনে ৬-৭ ঘণ্টা চালু রাখেন  আপনার  খাবার দাবার   ও নষ্ট  হবে না উল্টা আপনার  বিদ্যুৎ  খরচ  ১০০ ইউনিট  এর  বদলে আসবে ৩০ ইউনিট। সেই  হিসেবে বিল কিন্তু ৩০০ টাকার  বদলে ১০০ টাকা আসবে।
আপনি রাতে ঘুমানোর  সময়  আপনার  টিভি সেটটি  রিমোট  টিপে না বন্ধ  করে সরাসরি বন্ধ করলে আপনার  বিদ্যুৎ খরচ কিছু হলেও  কি কম  আসবে না ? আপনি আপনার  ছোট  রুম  গুলোতে যদি ৪০ওয়াট বাল্ব  এর  বদলে একটি ৯ ওয়াট  CFL ব্যাবহার  করেন  তাহলে কি তেমন  ক্ষতি হয়ে যাবে?
হিসাব মতে আপনি যদি পরিমিত  বিদ্যুৎ ব্যবহার  করেন  তাহলে আপনার  বিদ্যুৎ ব্যবহার  অন্তত অর্ধেকে নেমে আসবে । সেই  হিসেবে আপনার  খরচ ও  কিন্তু কম  আসছে এবং সময়মত  আপনারা বিদ্যুৎ  পাবেন।
তাই  আমার  পরামর্শ  থাকবে  বিদ্যুৎ  ব্যবহারে একটু  হলেও  সাশ্রয়ী  হোন।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে পরামর্শ :
  • সাধারণ  বাতির  বদলে বিদ্যুৎ  সাশ্রয়ী  CFL ব্যবহার  করুন।
  • রুমের  সাইজ  অনুযায়ী বাতি ব্যবহার  করুন (ছোট  রুমে বড়  বাতি ব্যাবহার  করে কোন  লাভ আছে কি?)
  • বৈদ্যুতিক  সরঞ্জাম  ২৪ ঘণ্টা  না  জ্বালিয়ে  পরিমিত  জ্বালান।
  • ঘরে এসি ব্যবহার  করলে তাপমাত্রা দরকারের  থেকে বেশি কমাবেন  না (২৫ ডিগ্রির নিচে নামানো উচিৎ  নয়।)
  • যেকোনো বৈদ্যুতিক  সরঞ্জাম  ক্রয়ের  সময়  তার  energy effeciency দেখে কিনুন।
  • ফ্রিজ  কমিয়ে রাখুন (অযথা  ৫  বা  ৬ এ না দিয়ে  ২ এ  রাখুন)।
  • বাড়ি তৈরির  সময়  যথা সম্ভব  খোলা জানালা রাখুন। জানালায়  কাঠের  বদলে গ্লাস ব্যবহার করুন।
  • দিনের  বেলা সূর্যের  আলো ব্যবহার  করার  চেষ্টা করুন। দিনের  বেলা অযথা বিদ্যুৎ  খরচ  করার মানে নেই।
  • কম্পিউটার  কিছুক্ষণের  জন্য  ব্যবহার  না করলে শাট  ডাউন  না করে স্লিপ  দিয়ে রাখতে পারেন।কম্পিউটার  চালু  হবার  সময়  অনেক  বিদ্যুৎ  খরচ  করে যা এভাবে আপনি চাইলে কমাতে পারেন।
আপনি যদি সাশ্রয়ী মনোভাব  নিয়ে  বিদ্যুৎ  ব্যবহার  করেন  তাহলে  নিশ্চয়ই  আমরা  আমাদের  চলমান বিদ্যুৎ  সঙ্কটকে  বিদায়  জানাতে পারব।

Source: http://eeesust.wordpress.com

রুয়েটে জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি

রুয়েটে জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়িজাকির হোসেন জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি আবিষ্কার করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রছাত্রীরা। দুই ও তিন চাকার এ গাড়িটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, অপেক্ষাকৃত কম জ্বালানি নিয়ে দ্রুত চলতে পারে। স্থানীয় কাঁচামাল দিয়ে এ গাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত 'অয়্যার হর্স টিম' এবং 'দ্য রয়েল টিম' এর ২৮ ছাত্রছাত্রী যৌথভাবে কাজ করেছেন এ গাড়ি তৈরিতে। জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাহজাদা মাহমুদুল হাসান জানালেন, 'উদ্ভাবনটি আমাদের রুটিন গবেষণার অংশ। গাড়িটি অত্যন্ত জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব। আমরা চাই অতি অল্প খরচে সবাই যাতে গাড়িটি ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া পেট্রলের পরিবর্তে অন্য কোনো জ্বালানি ব্যবহার করা যায় কি না তা ভাবা হচ্ছে। আশা করি খুব সহজে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে গাড়িটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।' এ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম সদস্য রাসেদ হোসেন বলেন, 'আমরা জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সির (জাইকা) সাহায্যেই এ প্রকল্প শুরু করি এবং শেষ পর্যন্ত শতভাগ সফল হয়েছি বলে মনে করি।' আরেক সদস্য যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র গোলাম আরিফ অবশ্য নিজেদের সাফল্যের পেছনে বিভাগের সভাপতি ড. নীরেন্দ্ররাথ মোস্তাফির অবদান বড় করে দেখছেন। জানালেন, 'স্যার সব সময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করতে।' প্রকল্পটি প্রদর্শন শেষে রুয়েটের উপাচার্য ড. সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, 'এ ধরনের গাড়ি ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকারি সহযোগিতা পেলে প্রকল্পকে বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব।
নিজেদের তৈরি গাড়ির পেছনে রুয়েটের ছাত্ররা
 ২১ মার্চ ২০১২Source: http://www.kalerkantho.com 

Monday, May 14, 2012

আরো বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি বাজারজাত করবে সুপার স্টার গ্রুপ

আরো বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি বাজারজাত করবে সুপার স্টার গ্রুপ  

অর্থনৈতিক রিপোর্টার(২৩ জুন ২০১২):   দেশে প্রচলিত বিদ্যুত সাশ্রয়ী বাতির তুলনায় আরো বেশি সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক সামগ্রিক বিশেষ করে বৈদ্যুতিক বাতি বাজারজাত করতে যাচ্ছে সুপার স্টার গ্রুপ। বিদ্যুত সাশ্রয়ে সর্বশেষ প্রযুক্তি যুক্ত (এলইডি) লাইট দেশের বিদ্যুত ঘাটতি মোকাবেলায়ও বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনের বিআইএএম মিলনায়তনে সুপার স্টার গ্রুপের বার্ষিক বিক্রয়
সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০০ বিক্রয় প্রতিনিধি বা ডিলার অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা মোহাম্মদ ইব্রাহীম। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডে ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, পরিচালনা পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন, মো: জালাল, হারুন আর রশিদ, কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল হক প্রমুখ।
সম্মেলনে সুপার স্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, গত ২০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের আস্থার সঙ্গে দেশে বৈদ্যুতিক পণ্য বাজারজাত করছে। বিদ্যুত সাশ্রয়ে সুপার ষ্টার এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইতোমধ্যে দারুণ সাড়া জাগিয়েছে দেশব্যাপী।
দেশেই বৈদ্যুতিক সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনে সরকারি পর্যায় থেকে সহায়তার গুরুত্বারোপ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ইব্রাহীম বলেন, আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব নেই। অবকাঠামোগত সুযোগ নিশ্চিত হলে এবং ব্যাংকগুলো এগিয়ে এলে বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন বিশেষ করে বিদ্যুত সাশ্রয়ী লাইট-ফ্যান উৎপাদন এখানেই সম্ভব। এতে রপ্তানি আয় যেমন বাড়বে তেমনি সাশ্রয় হবে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। সুপার স্টার গ্রুপের পক্ষ থেকে সম্মেলনে সফল ডিলারদের পুরস্কৃত করা হয়। পরে র‌্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Friday, May 11, 2012

রাইস ও প্রেসার কুকারের ব্যবহার

রাইস ও প্রেসার কুকারের ব্যবহার

একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তারিন। সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া কিংবা রাতে ক্লান্ত দেহে অফিস থেকে ফেরা, এসবের মাঝে রান্নার জন্য অনেক বেশি সময় বের করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু তারিন নন, এ চিত্র সব কর্মজীবী নারীরই। ব্যস্তময় জীবনে আমাদের প্রয়োজন সময়ের সাশ্রয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক রান্নাঘরের সঙ্গী হিসেবে উদ্ভাবিত কিছু যন্ত্র আমাদের এনে দিয়েছে সেই সুবিধা। চলুন জেনে নিই সহজেই সময় বাঁচিয়ে রান্না করা যায় এ রকম দুটি কোকারিজের খোঁজখবরÑ
রাইস কুকার
অল্প সময়ে নির্বিঘেœ ভাত রান্নার যন্ত্র হিসেবে রাইস কুকার জনপ্রিয়। মিয়াকো, নোভা, নোকা, পাইলট, ন্যাশনাল মারকো ইত্যাদি ব্র্যান্ডের রাইস কুকারের চাহিদা বেশি। এগুলোর অধিকাংশ চীন ও জাপানের তৈরি। রাইস কুকারের দাম মডেল, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং আকারভেদে ভিন্ন হয়। তবে ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে অটোরাইস কুকার পাওয়া যায়। ধারণক্ষমতা ভেদে দাম পড়বে দেড় হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
প্রেসার কুকার
দ্রুত রান্নার জন্য আরও একটি যন্ত্র বেশ জনপ্রিয়, যার নাম প্রেসার কুকার। তাপ ও চাপে দ্রুত রান্নার জন্য প্রেসার কুকারের জুড়ি নেই। বাজারে এক থেকে ছয় লিটার ধারণক্ষমতার প্রেসার কুকার রয়েছে। দেশে তৈরি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড বাজারে পাবেন। এর মধ্যে কিয়াম ও গাজীর নাম বেশ পরিচিত। এর দাম ৭০০ থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি প্রেসার কুকারের দাম পড়বে ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা। ভারতের হকিন্স কোম্পানির প্রেসার কুকার কেনা যাবে এক হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
কোথায় পাবেন
পুরান ঢাকার ইসলামপুর, চকবাজার, গুলিস্তান, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, ডিসিসি মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, বায়তুল মোকাররম, গুলশান ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাবেন আপনি ভালো মানের রাইস কুকার ও প্রেসার কুকার। তবে কেনার আগে অবশ্যই ব্র্যান্ড ও দাম যাচাই করে নিতে হবে। পাশাপাশি ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিসিং সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
ব্যবহার ও যতœ-আত্তি
রাইস কুকারের মধ্যে মেন্যু বুক দেয়া থাকে। সে দিকনির্দেশনানুযায়ী ব্যবহার করা ভালো। রাইস কুকারের নিচে শক্ত পাতলা কাঠ ব্যবহার করা যেতে পারে। রাইস কুকার ফ্লোরের ওপর রাখলে এর তাপে ফ্লোর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় পরিমাণের চেয়ে বেশি পানি দেয়ায় মাড় বের হতে পারে, সেক্ষেত্রে চটের বস্তা বা অন্য কিছু এর নিচে দেয়া যেতে পারে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করার পর কুকারটি ঠা-া হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। রান্না করা ভাত বা অন্যান্য খাবার পাত্রটি থেকে ঢেলে রাখতে হবে।
এরপর পাত্রটি হালকা গরম সাবান পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে ঠা-া পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। নরম কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে রাখুন।
রাইস কুকারের সঙ্গে ব্যবহƒত অন্যান্য সরঞ্জাম যেমনÑ মেজারিং কাপ, চামচ হালকা গরম সাবান পানিতে ধুয়ে তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে রাখুন।
রাইস কুকারের ঢাকনাটি যদি আলাদা থাকে তবে অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গেই আপনি ধুয়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু পাত্রের সঙ্গে একত্রে লাগানো হলে হালকা গরম সাবান পানি দিয়ে স্পঞ্জ করে তারপর ঠা-া পানি দিয়ে ধুয়ে, মুছে ও শুকিয়ে রাখতে হবে। পাত্রের বাইরের অংশ এবং ঢাকনার ওপরের অংশ ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে রাখতে হবে।
ধোয়া ও মোছার পর সব সরঞ্জাম প্রায় ৩০ মিনিট বাতাসে রেখে ভালো করে শুকিয়ে তুলে রাখুন।
কোনও কঠিন দাগ উঠানোর ক্ষেত্রে গ্লাস ক্লিনার পেপার টাওয়ালে স্প্রে করে দাগের ওপর রেখে মুছুন। দাগ উঠাতে কখনই পাত্রের ভেতর সরাসরি ক্লিনার স্প্রে করবেন না। কোনও পোড়া খাবার হট প্লেট থেকে তোলার জন্য শিরিশ কাগজ দিয়ে হালকাভাবে ঘষে তুলে নিন। ধারালো বা তীক্ষè কোনও বস্তু দিয়ে প্লেট ঘষলে দাগ পড়ে যাবে। যেহেতু এটি বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র, তাই এর বৈদ্যুতিক অংশে যেন পানি না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের ওঠানামায় বা অধিক ভোল্টেজে এটি সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক আছে কিনা সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন।


গোপালপুরে খুদে বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন : জ্বালানিবিহীন 'হাতশক্তি মেশিন' একবার পাম্পেই চলে আধঘণ্টা

১১-০৩-২০১২

  খুদে বিজ্ঞানী গাজী মুসা। বাড়ি গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের জোতগোপাল গ্রামে। স্থানীয় সাজনপুর হাইস্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখার সময় বাবার ওয়ার্কশপে কাজ করার নেশায় পেয়ে বসে। আর তখন থেকেই ছোটখাট যন্ত্রাংশ আবিষ্কার করে এলাকাবাসীকে চমক দেখায়। ঢাকার তিতুমির কলেজে লেখাপড়ার পাঠ চুঁকিয়ে নিজের গড়া কারখানায় গবেষণা করে তিন বছর পূর্বে সেচ যন্ত্র আবিষ্কার করে দেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন।
এ মেধাবী যুবক এবার আবিষ্কার করেছেন জ্বালানিবিহীন হাতশক্তি মেশিন। নব উদ্ভাবিত এ মেশিন চালাতে কোন বিদ্যুৎ, ডিজেল, পেট্রোল বা গ্যাস লাগে না। হাতের শক্তিতেই এ মেশিন চলায় নামকরণ হয়েছে হাতশক্তি মেশিন। হাত দিয়ে একবার পাম্প করলে আধাঘণ্টা চলে। এ থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে ফসলি জমিতে সেচ ও সার প্রয়োগ, সারিবদ্ধভাবে শস্য বীজ বপন, শুকনা জমির আগাছা দমন, ফসল ও উঁচু গাছের ডালে বিষ ও হরমোন স্প্রে এবং পরিবহন কাজে ব্যবহার করা যায়। মেশিনের পাম্প করার হ্যান্ডেল এত সহজ যে শিশুরা পর্যন্ত এটি অনায়াসে পাম্প করতে পারে। তিন চাকার এ মেশিনটির ওজন প্রায় ৮০ কেজি। দৈর্ঘ্য চার ফিট আর প্রস্থ তিন ফিট। এ মেশিন দেড়শ থেকে দুইশ লিটার পানি বহন করতে পারে। যন্ত্রটি বছরব্যাপী পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় কৃষিবিদরা।
গ্রামবাসীরা জানান, এ মেশিনের সাহায্যে সেচবহির্ভূত পতিত এবং অনাবাদি জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছে। অগি্ন নির্বাপণ কাজেও মেশিনটিকে কাজে লাগানো হয়েছে। গাজী মুসা জানান, যন্ত্রটির আরও উৎকর্ষ সাধনে প্রচুর অর্থ এবং কারিগরি সরঞ্জামের প্রয়োজন।

 

Thursday, May 10, 2012

বিদ্যুৎ সংকটে আশার আলো মহসিনের বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প,নির্বাক সরকার!

বিদ্যুৎ সংকটে আশার আলো মহসিনের বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প,নির্বাক সরকার! 

প্রবাল আহমেদ,নিউজ এজেন্সি টোয়েন্টিফোর(নভেম্বর ২৪,বৃহস্পতিবার,ঢাকা)- হাত ভেঙ্গেছি কিন্তু মন ভাঙ্গেনি- কথাটি আপাত দৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও এর মর্ম বুঝা সহজ নয়। কথাটি বলছিলেন বনসাই মহসিন। তার আসল নাম এস,এম মহসিনুল ইসলাম। তার জন্ম ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার আমুয়া গ্রামে। তিনি ১৯৮২ সালে এস,এস,সি পাস করার পর বুয়েট এ ড্রাইভার হিসেবে যোগ দেন।

নগরকেন্দ্রিক কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়ে সারা দেশ কাঁপিয়েছিলেন একসময় ।

ঢাকার খিলক্ষেতে নিজের প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প। বায়ু বিদ্যুতের চিন্তা কিভাবে আসল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি নিউজ এজেন্সি টোয়েন্টিফোরকে বলেন,দুপুর বেলা নার্সারিতে পানি দিতেছিলাম। এমন সময় এক বন্ধু এসে বলল উইন্ড পাম্প বানাইয়া পানি দিতে পারস না। এরপর শুরু হল লোহা-লক্কর দিয়ে উইন্ড মিল বানানোর কাজ। পেশায় ড্রাইভার হওয়ায় এসব কাজ একটু ভাল বুঝতাম। তাছাড়া আমার প্রেরণা ডঃ আইনুন নিশাত স্যার(ভি,সি ব্রাক ইউনিভার্সিটি) আমাকে সব সময় সাহায্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন,প্রধামন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানোর কথা ভাবছিলাম। কতুবুদ্দিন সার জি-৩৮ বললেন, তোমার মডেল ভাল। সরকারের কাছে টাকা চাও। তখন ০৭-০৯-১১ তে সকারের কাছে লিখিত কাগজ পাঠাই। কিন্তু কাজ হল না। নিরাস হলাম না। হাত ভাঙ্গল ২১-১০-১১ তারিখে। হাসপাতাল থেকে আসলাম ২৩ এ। ২৪ তরিখে উইন্ড মিল বানানোর কাজ শেষ করলাম।
অবহেলিত এ মানুষটি বারবার নিঃস্ব হয়ছে। কিন্তু নিরাশ হননি,হারাননি ইচছা। তিনি বলেন, সরকার এক কোটি টাকা অনুদান দিলে আমি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারি। আশা করছি ৫০-৬০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারব। এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করা সম্ভব। আমার প্রযুক্তির একটি বিশেষ দিক হল,যে কোন দিকের বাতাস কাজে লাগাতে সম্ভব এবং ঝড়ের মধ্যেও এ প্রকল্পের কোন ক্ষতি হবে না।
বায়ু বিদ্যুৎ বিস্ময় !
অনেকেই দেখেছেন খোলা মাঠে বা সমুদ্রে বড় বড় পাখা ঘুরছে। এগুলো দেখতে পাখার মত মনে হলে ও এগুলো থাকে সাধারনত ভার্টিক্যালি অর্থাৎ টেবিল ফ্যানের মত করে। এত বড় পাখা দিয়ে হয়টা কি? এগুলো আসলে উইন্ড টারবাইন/উইন্ড জেনারেটর বা বায়ু বিদ্যুৎ । বায়ুপ্রবাহ হতে ঘোরা বৃহৎ আকারের পাখা দ্বারা টারবাইন ঘুরিয়ে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
বায়ু বিদ্যুৎ কি?
বায়ু বিদ্যুৎ, বায়ু শক্তি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। বায়ুপ্রবাহ হতে ঘোরা বিশাল আকারের পাখা দ্বারা টারবাইন ঘুরিয়ে এই বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত পৃখিবীব্যাপি ১২১.১ গিগাওয়াট বায়ুুবিদ্যুৎ উৎপাদনের নথি পাওয়া যায় । পৃথিবীর মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১.৫ শতাংশ বায়ুবিদ্যুৎ। পূণর্ব্যবহারোপযোগী ও জ্বালানিবিহীন হওয়ায় এর উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপের ডেনমার্ক, জার্মান, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন প্রভৃতি দেশে এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মে ২০০৯ পর্যন্ত বিশ্বের ৮০টি দেশে বাণিজ্যিকভাবে বায়ুুবিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে।
বায়ুর গতি ঘন্টাপ্রতি কমপক্ষে ৭-১০ মাইল হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
বাংলাদেশে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া দ্বীপে পিডিবি ১টা উইন্ড টারবাইন প্রকল্প চালু করেছিল। যদিও খুব অল্প সময়ই স্থায়ী হয় এই প্রকল্প।
বায়ু বিদ্যুতের সুবিধা
এই বিদ্যুৎ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল একবার বসান হলে এর রক্ষনাবেক্ষন ছাড়া আর কোন খরচ নেই। বায়ুুতে চলে বলে এর কোন জ্বালানী খরচ নেই।
কোথায় উৎপন্ন হয়?
বায়ুুর গতি কমপক্ষে ৭-১০ এমপিএইচ(মাইল পার আওয়ার) হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। খোলা জায়গা,মাঠ,নদীর মোহনা,পাহাড়ের বা টিলার চূড়ায় ইত্যাদি।
প্রকৌশলী ফজলুর রহমান নিউজ এজেন্সি টোয়েন্টিফোরকে বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ২৫ মিটার উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ২৫০ কি.ও. বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম মাঝারী ধরণের বায়ুকল চালানোর জন্য যথেষ্ট। ৫০ মিটার উচ্চতায় ২৫ কি.ও. থেকে এক মে.ও. ক্ষমতা সম্পন্ন বড় ধরণের কল স্থাপন সম্ভব।

বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা
প্রাথমিক এক জরিপে বলা হয়েছে বাংলাদেশের উপকূলের বাতাস থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। ভারত বর্তমানে উপকূলীয় এলাকা থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় যেমন বাতাস ভারতীয় উপকূলেও তেমনই বাতাস আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন নিউজ এজেন্সি টোয়েন্টিফোরকে বলেন, কারো মতে দেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা নেই। আবার কেউ বলেন প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। একটি পরিপূর্ণ উইন্ড ম্যাপ থাকলে এটা স্পষ্ট বলা সম্ভব হতো বাংলাদেশে কতটুকু বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, কোন কোন অঞ্চল বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভালো।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে বছরের অধিকাংশ সময়ই বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকে। এই বাতাসকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার শহর তথা উপকূলীয় এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। এতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন-মান ও অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাতাসের গতি প্রবাহ একই রকম। কিন' ভারত তাদের বাতাসকে কাজে লাগিয়ে ১২০০ মে.ও. বায়ু বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে। বাংলাদেশও একই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাতাসকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। তার মতে, বাংলাদেশ উপকূলের সরল রৈখিক দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৪০ কি.মি। আর আকাঁবাকাঁ প্রায় ১২০০ কি.মি.। এসব এলাকার ১০ কি.মি. ভেতরে পর্যন্ত বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকে। তাই বিশাল এই উপকূলীয় এলাকার বাতাসকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায়।
বহির্বিশ্বে বায়ু বিদ্যুতের ব্যাবহার
ইউরোপের ডেনমার্ক, জার্মান, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন প্রভৃতি দেশে এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
২০০৮সাল পর্যন্ত পৃখিবী ব্যাপি ১২১.১ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড পাওয়া যায় । পৃথিবীর মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১.৫% বায়ু বিদ্যুৎ। পূনব্যবহার ও জ্বালানিবিহীন হওয়ায় এর উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টার্গেট-২০৩০’৷ এই সময়ের মধ্যেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি সমুদ্র প্রান্তিক বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদন করতে চায় ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ।
পরিকল্পনা অনুসারে ২০২০ সাল নাগাদ ইউরোপে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ১৬ ভাগেরও বেশি আসবে বায়ু বিদ্যুৎ থেকে। আর এই সমুদ্র প্রান্তিক বায়ু বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপনের কাজেই কেবল ব্যয় হবে ৫৭ বিলিয়ন ইউরো। তাই ইউরোপীয় উইন্ড এনার্জি এসোসিয়েশনের প্রধান ক্রিষ্টিয়ান কাজেয়ার ইইউভুক্ত সকল দেশের প্রতি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আরও সহায়তার দেয়ার ঘোষণা দেবার আহ্বান জানিয়েছেন।


একজন মানুষের ক্ষুদ্র প্রয়াসে যদি তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ তবে সরকার কেন পারে না?এই প্রশ্ন সবার মনে।
সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবে এ রকম সম্ভাবনাময় একটি বিদ্যুৎ উৎস দেশ কাজে লাগাতে পারছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অথচ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার ইচছা প্রকাশ করে দেশের টাকা বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে পিছপা হচ্ছে না বর্তমান সরকার। বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে অনেক ভিত্তিহীন পরিকল্পনাই গ্রহণ করছে সরকার। অথচ হাতের কাছেই রয়েছে সেই অপূর্ব সমাধান।
কক্সবাজার তথা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার বাতাসের গতিকে কাজে লাগিয়ে যে সম্ভাবনার হাতছানি তা কাজে লাগানোর সময় এখনই।

 Source: http://www.newsagency24.com

সৌর বিদ্যুৎ বদলে দিয়েছে মতলবের চরাঞ্চলের মানুষের জীবন

সৌর বিদ্যুৎ বদলে দিয়েছে মতলবের চরাঞ্চলের মানুষের জীবন

শামসুজ্জামান ডলার,মতলব উত্তর(চাঁদপুর) :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলের ৩০ হাজার মানুষের কাছে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো অসম্ভব ভাবনা। সূর্য্য পশ্চিম আকাশ থেকে অস্ত যাবার সাথে সাথে নেমে আসে তিমির আধাঁর। চারদিকে নিরব নিস্তব্দতা। নেই কোন কোলাহল। চরাঞ্চলবাসী সবধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত যুগ যুগ ধরে। কিন্তু সৌর বিদ্যুৎ বদলে দিয়েছে মতলব উত্তর উপজেলার বিশাল ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের জীবন। সারাদেশের মানুষ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হলেও এই চরাঞ্চলের মানুষরা তখনো নির্বিঘেœ জ্বালিয়ে যাচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ । এই সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে চরাঞ্চলের মানুষরা এখন রাতের আধাঁরকে জয় করে এখন ঘরে ঘরে ফকফকা আলো জ্বালাচ্ছেন। চালাচ্ছেন টেলিভিশন, সিডি, ফ্যানসহ অনেক কিছুই। বর্তমানে তাদের জীবনে ছোঁয়া লেগেছে আধুনিকতার।সেই সাথে শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের আলোয় রাতের বেলাতে পড়াশোনা করতে পাড়ছে।
আগে সন্ধ্যা নামতেই গ্রামের মানুষদের খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমুতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এ অবস্থায় চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এগিয়ে আসে কয়েকটি এনজিও। তারা ওইসব এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম হাতে নেয় কিছুটা সুলভ মূল্যে।
খোজখবর নিয়ে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় ব্র্যাক ও গ্রামীন শক্তি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান ২০০৫ সালে নদী বেষ্টিত বিভিন্ন গ্রামে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম দিকে তেমন সারা না পাওয়া গেলেও আস্তে আস্তে চরাঞ্চলের মানুষদের কাছে সৌর বিদ্যুতের কদর বাড়তে থাকে। বর্তমানে এ উপজেলার চরাঞ্চলের চরউমেদ, চরকাশিম,বোরচর, চরওয়েস্টার, বাহাদুরপুর, চরজিংকিংসহ অন্যান্য চরে সৌর বিদ্যুতের অনেক কদর।
চরকাশিমের জাকির বকাউল, নেয়ামত উলা, ইব্রাহিম গাজী জানায়, সৌর বিদ্যুতের কারনে এখন আমরা রাতে টিভি দেখতে পাচ্ছি। ছেলেমেয়েরা অনেক রাত পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পারছে। তারা আরো জানায়, সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে এলাকার পরিণত হওয়া চরাঞ্চলের গ্রামগুলো এখন সৌর বিদ্যুতের আলোয়ে আলোকিত হয়ে উঠছে। চরাঞ্চলের মানুষ যেন নতুন জীবন পেয়েছে।
গ্রামীন শক্তি ও ব্রাকের সৌর বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রমের কয়েকজন ফিল্ট সুপারভাইজারের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সৌর বিদ্যুৎ অতি সুলভ মূল্যে স্থাপন করা যায়। এসব সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪টি বাল্ব, একটি টেলিভিশন ও সিডি চালানো যায়।
চরাঞ্চলের বিদ্যুৎ কার্যক্রম চালু করতে সৌর সোলার প্লান্টে লাগে একটি ১৮ ভোল্টের শক্তিশালী ব্যাটারি, চার্জার যন্ত্র, তার ও বাল্ব। সৌর বিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছার পর চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 

Source: www.comillaweb.com

থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা

থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বা তিন-ফেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা পরিবর্তী বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, সঞ্চারণ এবং বিতরণের কাজে ব্যবহৃত একটি সাধারণ এবং জনপ্রিয় ব্যবস্থা। এটি বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহের কাজে সারা পৃথিবী জুড়ে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ব্যবস্থা। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ তাদের বিদ্যুৎ বিতরণের জাতীয় গ্রীডে থ্রি-ফেজ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। বিশাল বিশাল বৈদ্যুতিক মোটর এবং অনুরূপ অনেক ভারী বৈদ্যুতিক লোডে বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ করতেও এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। থ্রি-ফেজ ব্যবস্থা অন্যান্য সমতুল্য ব্যবস্থার (যেমন দুই ফেজ বা এক ফেজ ব্যবস্থা) থেকে বেশী সাশ্রয়ী কারণ সমান ভোল্টের বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চারণের জন্য এই ব্যবস্থায় কম পরিবাহকের প্রয়োজন হয়। নিকোলা টেসলা ১৮৮৭ সালে থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সূচনা করেন এবং ১৮৮৮ সালে এর স্বত্ব লাভ করেন।
থ্রি-ফেজ ব্যবস্থায় তিনটি পরিবাহীর (ফেজ) মধ্য দিয়ে একই কম্পাঙ্কের এমন তিনটি পরিবর্তী বিদ্যুৎ প্রবাহ প্রবাহিত করা হয় যাদের যে কোন এক মূহুর্তের তড়িৎ প্রবাহের মান এক সমান থাকে না। একটি পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎপ্রবাহকে মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করে বাকী দুটি তড়িৎ প্রবাহকে একটি পূর্ন তড়িৎ প্রবাহ চক্রের (cycle) যথাক্রমে এক-তৃতীয়াংশ ও দুই তৃতীয়াংশ পিছিয়ে (delay) দেয়া হয়। তিনটি ফেজের মধ্যে এই চক্র পার্থক্যের কারনে একটি পূর্ণ তড়িৎ চক্রে সঞ্চারিত তড়িৎ শক্তি সবসময় সমান থাকে এবং এই চক্র পার্থক্যই বৈদ্যুতিক মোটরের মধ্যে পরিবর্তী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী করে।
আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং আবাসিক বৈদ্যুতিক লোড প্রধানতঃ এক-ফেজের হয়ে থাকে। তাই থ্রী-ফেজ ব্যবস্থা থেকে সরাসরি আবাসিক ভবনে সংযোগ দেয়া হয় না। যদি কোন স্থানে দেয়া হয়ও, তাহলে তিনটি ফেজকে প্রধান বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড থেকেই আলাদা করে দেয়া হয় এবং পৃথক পৃথক লোডগুলো যে কোন একটি ফেজ থেকে সংযোগ পায়।
থ্রী-ফেজ ব্যবস্থার কিছু বিশেষ সুবিধা আছে যার ফলে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পরিচিত বৈদ্যুতিক সরবরাহ ব্যবস্থায় রূপ নিয়েছেঃ
  • তিন ফেজের বিদ্যুৎ প্রবাহ একে অন্যকে বিয়োগ করে দেয় এবং লিনিয়ার ব্যালেন্সড লোডের ক্ষেত্র যোগফল শূন্য হয়ে যায়। ফলে নিউট্রাল পরিবাহী ব্যবহার না করলেও চলে অথবা এর আকার অনেক কমিয়ে ফেলা যায়।
  • লিনিয়ার ব্যালেন্সড লোডে শক্তি সরবরাহ সবসময় সমান থাকে, ফলে বৈদ্যুতিক জেনারেটর বা বৈদ্যুতিক মোটরকে নির্বিঘ্নে চলতে এবং কম্পন (vibration) কমাতে সাহায্য করে।
  • থ্রি-ফেজ ব্যবস্থা নির্দিষ্ট দিকে ঘূর্নায়মান চৌম্বক ক্ষেত্র উৎপাদন করতে পারে, ফলে বৈদ্যুতিক মোটর নকশা ও তৈরী করা খুব সহজ হয়ে যায়।
  •  

    নিউট্রালের জন্য একটি এবং এ, বি ও সি তিন ফেজের তিনটি- মোট চারটি তারের সংযোগসহ থ্রি-ফেজ ট্রান্সফর্মার, যা ২০৮Y/১২০ ভোল্ট সরবরাহে ব্যবহার করা হয়।

    থ্রি-ফেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা

    থ্রি-ফেজ তড়িৎ প্রবাহের এনিমেশন
    বাম দিকের চিত্র: প্রাথমিক ছয় তারের থ্রি-ফেজ অল্টারনেটর যেখানে প্রতিটি ফেজের জন্য এক জোড়া করে তার ব্যবহৃত হয়েছে।[৩] ডান দিকের চিত্র: প্রাথমিক তিন-তারের থ্রি-ফেজ অল্টারনেটর, কীভাবে মাত্র তিনটি তার ব্যবহার করে তিনটি ফেজেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় দেখানো হয়েছে।[৪]
    বাম দিকের চিত্র: প্রাথমিক ছয় তারের থ্রি-ফেজ অল্টারনেটর যেখানে প্রতিটি ফেজের জন্য এক জোড়া করে তার ব্যবহৃত হয়েছে।[৩] ডান দিকের চিত্র: প্রাথমিক তিন-তারের থ্রি-ফেজ অল্টারনেটর, কীভাবে মাত্র তিনটি তার ব্যবহার করে তিনটি ফেজেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় দেখানো হয়েছে।[৪]
    প্রাথমিক ছয় তারের থ্রি-ফেজ অল্টারনেটর যেখানে প্রতিটি ফেজের জন্য এক জোড়া করে তার ব্যবহৃত হয়েছে। ডান দিকের চিত্র: প্রাথমিক তিন-তারের থ্রি-ফেজ অল্টারনেটর, কীভাবে মাত্র তিনটি তার ব্যবহার করে তিনটি ফেজেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় দেখানো হয়েছে।

বাজারে ভালো ফ্রিজ কোনটা? অভিজ্ঞ ভাইজান ও আপুমণিরা আওয়াজ দেন গো...

বাজারে ভালো ফ্রিজ কোনটা? অভিজ্ঞ ভাইজান ও আপুমণিরা আওয়াজ দেন গো...

ফ্রিজের ব্যাপারে আমার জ্ঞান শূণ্যের কোঠায়। ফ্রস্ট, ননফ্রস্ট এইগুলান কিছুই বুঝিনা। এইদিকে আম্মা দায়িত্ব দিয়ে বসছেন ভালো একটা ফ্রিজ কিনে নিয়ে আসতে, ক্যামনে কি?! /:) এলজি, স্যামসাং অথবা শার্প ব্র্যান্ডের মধ্যে কিনবো ভাবছিলাম। এক বড়ভাইয়ের কাছে শুনলাম ওয়ালটন ফ্রিজ নাকি বেশ ভালো?!ওয়াল্টন ভালো হলে দেশি জিনিষই কিনতে চাই! ব্লগে বছরখানেকের বেশী সময় ধরে ওয়াল্টন ফ্রিজ ব্যবহার করেন কেউ থাকলে আওয়াজ দেনগো.. আপনারা সাহস দিলে কিনে ফেলবো B-) আর ব্যবহার করে অসন্তুষ্ট হলেও জানান দয়া করে...

- রাফি মাহমুদ

 

এবিসি১০ বলেছেন: হাই বাজেট(৫০০০০+): Fisher & Paykel (New Zealand)
Vestfrost (Denmark)
Hotpoint Ariston (Italy)(এটা বাংলাদেশে অনেক নকল হয়। আসল ইটালিয়ানটা নাও পেতে পারেন)
ওপরের অরিজিনাল রেফ্রিজারেটরগুলো অসাম। ১০ বছরের গ্যারান্টি দেবে।
মিড বাজেট(৩৫০০০-৫০০০০): LG (Indonesian/ Korean)
Sharp (Thailand)
Samsung (Thailand/ China)
এলজির কিছু হাই রেইঞ্জের রেফ্রিজারেটর আছে। অসাম। স্যামি(স্যামসুঙ্গ) হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিতে যতোটা ভালো, হোম এপ্লায়েন্সে ততটা ভালো না। শার্প চলে- ভালোই।
লো বাজেট(বিলো ৩৫০০০): ওয়াল্টন। দেশি পণ্য। ফিনিশিং খুব ভালো না হলেও কয়ালিটি ভালো।
আমি বাসায় ব্যবহার করি এলজির টপ রেইঞ্জের একটা। সাথে ভেস্টফ্রস্ট। দারুণ চলছে গতো ৫ বছর ধরে। 

লেখক(রাফি মাহমুদ)বলেছেন: Sharp ফ্রিজ জানতাম জাপানিজ, আপনার থেকে জানা হলো থাইল্যান্ড B:-) ...আমার বাজেট ৪০-এর আশেপাশে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতমাস থেকে ২০% শুল্ক আরোপের পর আমদানী করা সব ফ্রিজের দাম ৪-৫হাজার বেড়ে গিয়েছে। LG, Sharp, Samsung'র প্রায় সব মডেলই এখন ৪০হাজারের উপর /:)

এবিসি১০ বলেছেন: সোজা বাংলায় ফ্রস্ট ফ্রিজ হলো বরফ জমে যাবে। অনেক বরফ জমবে। গ্রামাঞ্চলে যেখানে একটানা ৬-৭ ঘণ্টা ইলেকট্রিসিটি থাকে না, সেখানে উপকারি এটা। অসুবিধা হলো, অত্যধিক ঠাণ্ডা, আর বরফ সরাতে হবে বারবার। ট্রে থাকলে তা পরিস্কার করতে হবে।
নন ফ্রস্টে ততটা বরফ জমবে না। যতোটা প্রয়োজন ততটাই হবে। শহরের জন্যে এটা ভালো। এটার ট্রে পরিষ্কার করতে হয় না। ঝামেলাহীন।

আপনার এলাকায় ব্যাপক হারে ইলেকট্রিসিটি আউট না হলে ফ্রস্টের কথা চিন্তা করবার দরকার নেই।
 

লেখক বলেছেন: নন ফ্রস্টই নিব তাহলে :D 

এবিসি১০ বলেছেন: ওয়ালটন ভালোই। দেশি জিনিসতো, খারাপ হলে কান ধরিয়ে রেখে ঠিক করিয়ে নেয়া যায়। :)
গ্রামে দুটো আছে, পারফরমেন্স ভালো। সমস্যা হয়নি।
ভুলেও চায়নিজ কোন কোম্পানির ফ্রিজ কিনবেন না। হয় ওয়ালটন, নয়তো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির। 

এস বাসার বলেছেন: HITACHI অথবা SHARP কিনতে পারেন। আমার বাবার কেনা একটি আর একটি আমার কেনা, দুটাই চমৎকার।
বর্তমানে দাম একটু বেশী হবার সম্ভাবনাই বেশী।
ওয়ালটন ছোট বোনকে কিনে দিয়েছিলাম, বেশ ভালই চলছে!  

লেখক বলেছেন: আচ্ছা। Hitachi, Sharp, Walton- সর্টলিস্টে গেল   

রফিক মাহমুদ বলেছেন:
ওয়ালটন ননফ্রস্ট আছে কি না জানি না। আমি যেটা কিনেছি, বাড়ি এসে দেখি ডীপ ফ্রিজ অংশ বাইরে বড় দেখালেও আসলে ভেতরে জিনিস রাখার জায়গা কম, আর ডিফ্রস্ট করতে ভীষণ ঝামেলা। এ ছাড়া আমারটায় ডোর গ্যাস্কেট কোণায় বাঁকা বলে এয়ার লীক আছে।
সুতরাং আপনার প্রয়োজন মত জায়গা ভেতরে আছে কিনা দেখে নেবেন।
ননফ্রস্ট মডেল নেবেন। দামে বেশি হলেও অনেক খাটুনি ও বিরক্তি থেকে রক্ষা পাবেন।
গ্যাস্কেট চারপাশে, বিশেষত কোণাগুলিতে টাইটলি বন্ধ হয় কিনা দেখে নেবেন।
কোরিয়ায় তৈরী পেলে ভালো।
আপনার পছন্দের ফ্রিজটি চিহ্নিত করে দেবেন পাঠানোর আগে।
 

লেখক বলেছেন: লিস্টঃ
১। ভেতরের জায়গা চেক করে নিতে হবে।
২। গ্যাস্কেট চারপাশে, বিশেষত কোণাগুলিতে টাইটলি বন্ধ হয় এটাও দেখে নিব।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাইজান। ঠকবোনা ইনশাল্লাহ
:) 

এবিসি১০ বলেছেন: আমি বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারিনি। ফ্রিজগুলোর নামের পাশে ব্র্যাকেটে যেই দেশের নাম দিয়েছি, সেটা হলো বাংলাদেশে যেসব দেশের ম্যানুফ্যাকচার্ড ফ্রিজ আমদানি করে সে দেশের নাম।
শার্প জাপানিজ কোম্পানি, তবে দেশে শার্প ফ্রিজ আসে থাইল্যান্ড থেকে। এলজি, স্যামসুঙ্গ কোরিয়ান; তবে এখানে এলজি আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রধানত। স্যামি চায়নিজ ও নিয়ে আসে।

আপনি এবসুলিউট কোয়ালিটি চাইলে নিউজিল্যান্ডের ফিশার এন্ড প্যায়কেল অথবা ডেনমার্কের ভেস্টফ্রস্ট কিনে নিতে পারেন। কোয়ালিটি অসাম। 
 

লেখক বলেছেন: দুঃখিত, আমারই বুঝতে ভুল হয়েছিল। ফ্রিজ নিয়ে আপনার জ্ঞানের প্রসংশা করতেই হচ্ছে। ভাইজান এত কিছু মনে রাখেন কেমনে?! :-*
ফিশার এন্ড প্যায়কেল, ভেস্টফ্রস্ট দুইটাই বাজেটের বাইরে। বাজেট ক্রস করা আংগুর ফল টক নীতি + ইউজার রিভিউ + দেশী পণ্য এই তিন মিলিয়ে আমার কাছে ওয়ালটনের পাল্লাই সবচেয়ে ভারী লাগছে
B:-/ 

রাশূ বলেছেন: ফ্রিজ যেইটাই কিনেন , অবশ্যই ষ্ট্যাবিলাইজার দিয়ে চালাবেন । এতে ফ্রিজ নষ্ট হবার সম্ভবনা থাকেনা বললেই চলে। 

লেখক বলেছেন: ষ্ট্যাবিলাইজার লিস্টে আছে। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ :) 

আকাশ_পাগলা বলেছেন: দেশের জিনিস কিনেন ওয়ালটন।
অদের জিজ্ঞাসা করেন মিনিমাম ৬০% দেশে বানাইছে কী না, যদি হ্যা বলে তাইলে এইটাই কিন্যা ফালান।
আমি শুনছিলাম সবই দেশে হয় শুধু ফ্রিজ বাদে। শিওর না। তাই ওদের জিজ্ঞাসা করে নিতে বললাম।

বিদেশ থেকে ইলেক্ট্রিক জিনিস কিনলে, সেইটা নষ্ট হলে ঠিক করতে বহু ফ্যাকড়া। বিদেশ থেকে পার্টস আসবে এই হবে সেই হবে। আর দেশে থাকলে যদি ঠিক নাও করে বাই চান্স, তাও ত কলারটা ধরে দুটা চটকানা মারতে পারবেন ।

দেশের জিনিসই কিনা উচিত।

আমি এলইডি কিনছি কয়দিন আগে ওয়ালটনের। অর্ধেক দাম বাকিডির তুলনায়। কোয়ালিটি ভালো খারাপ জানিনা, তবে দামে সেটা পোষায়া গেছে। 

লেখক বলেছেন: আমার জানামতে ওয়ালটনের নিজস্ব ফ্যাক্টরী হওয়ার পর থেকে পুরা ১০০%-ই দেশী বানানো, এমনকি কপ্রেসরও :D পার্টসের প্রাপ্যতা ও দামের ব্যাপারে সহমত ভাইডি

অরন্যযাত্রী বলেছেন: এবিসি ১০ এর পরামর্শই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে। গত মাসে আমি ওয়লটনেন নন ফ্রস্ট কিনেছি একটা ওদের ভাষায় ১৭ সিএফ টি, ভালোই মনে হচ্ছে কিন্তু ফ্রিজ চলার শব্দ একটু বেশী মনে হয়েছে।   

দ্যা বারব্যারিয়ান বলেছেন: ওয়ালটন কিনেন। ২ বছর হইল কিনছি, কোন সমস্যা করে নাই। আর যেহেতু দেশী কোম্পানী, স্পেয়ার পার্টস দরকার হলে সমস্যা নাই, আর সার্ভিসও ভালো পাবেন।  

েরজাবলেছেন: ফ্রিজের সিএফটি-র মাপের ক্ষেত্রে সব শো রুমেই বিক্রয়কর্মীরা কম-বেশী মিথ্যা কথা বলে ।
এরা সাধারনত আসল মাপ থেকে ২/৩ সিএফটি বাড়ায়ে বলে ।
সিএফটি-র হিসাব হবে নীচের মত --

২৮ দশমিক ৩ লিটারে এক সিএফটি ।

বাজারে ২৩০ লিটার ক্যাপাসিটির একটি ফ্রিজ এরা ১০ সিএফটি বলে চালায় , যেটা কিনা আসলে ৮ দশমিক ৩ সিএফটি ।

আর এগুলো সবাই বলে মুখে মুখে , কোথাও লিখিত আকারে পাবেন না ।
আর এদের মধ্যে ওয়ালটন হল বস ।

ওয়ালটন ফ্রিজের গায়ে ওদের কারখানা থেকেই পারমান্যান্ট স্টিকারে ভুল সিএফটি লিখে দেয় ( আসল থেকে ২/৩ সিএফটি বাড়ায়ে )
এই কাজ আর কেউ করে না , সবাই মুখে মুখে বলে ।
আপনারা যারা ফ্রিজ কিনবেন বলে ভাবছেন তারা শো-রুমে গিয়ে নিজেই দেখে নিবেন সেটা কত লিটারের ( ফ্রিজের ভেতরে ম্যানুফেকচারারের লাগান স্টিকার পাবেন ) , এটা কখনও ভুল লেখা থাকে না , তারপর ২৮ দশমিক ৩দিয়ে ভাগ করে সিএফটি বের করে নিবেন ।

বিক্রয়কর্মীরা বলতে পারে আমাদের দেশে সবাই সিএফটি হিসাবে কেনে , লিটারে না ।

কথা সত্য , কিন্তু বাংলাদেশে যেমন তিন ফুটে এক গজ হয় , ইউরোপেও সেই
তিন ফুটেই এক গজ হয়, সাড়ে তিন ফুটে না ।
দেখবেন মুখটা কেমন কাল হয়ে যায় ;) 

***************
1 Cubic Foot = 28.3168466 Liters