Friday, May 11, 2012

রাইস ও প্রেসার কুকারের ব্যবহার

রাইস ও প্রেসার কুকারের ব্যবহার

একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তারিন। সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া কিংবা রাতে ক্লান্ত দেহে অফিস থেকে ফেরা, এসবের মাঝে রান্নার জন্য অনেক বেশি সময় বের করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু তারিন নন, এ চিত্র সব কর্মজীবী নারীরই। ব্যস্তময় জীবনে আমাদের প্রয়োজন সময়ের সাশ্রয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক রান্নাঘরের সঙ্গী হিসেবে উদ্ভাবিত কিছু যন্ত্র আমাদের এনে দিয়েছে সেই সুবিধা। চলুন জেনে নিই সহজেই সময় বাঁচিয়ে রান্না করা যায় এ রকম দুটি কোকারিজের খোঁজখবরÑ
রাইস কুকার
অল্প সময়ে নির্বিঘেœ ভাত রান্নার যন্ত্র হিসেবে রাইস কুকার জনপ্রিয়। মিয়াকো, নোভা, নোকা, পাইলট, ন্যাশনাল মারকো ইত্যাদি ব্র্যান্ডের রাইস কুকারের চাহিদা বেশি। এগুলোর অধিকাংশ চীন ও জাপানের তৈরি। রাইস কুকারের দাম মডেল, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং আকারভেদে ভিন্ন হয়। তবে ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে অটোরাইস কুকার পাওয়া যায়। ধারণক্ষমতা ভেদে দাম পড়বে দেড় হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
প্রেসার কুকার
দ্রুত রান্নার জন্য আরও একটি যন্ত্র বেশ জনপ্রিয়, যার নাম প্রেসার কুকার। তাপ ও চাপে দ্রুত রান্নার জন্য প্রেসার কুকারের জুড়ি নেই। বাজারে এক থেকে ছয় লিটার ধারণক্ষমতার প্রেসার কুকার রয়েছে। দেশে তৈরি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড বাজারে পাবেন। এর মধ্যে কিয়াম ও গাজীর নাম বেশ পরিচিত। এর দাম ৭০০ থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি প্রেসার কুকারের দাম পড়বে ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা। ভারতের হকিন্স কোম্পানির প্রেসার কুকার কেনা যাবে এক হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
কোথায় পাবেন
পুরান ঢাকার ইসলামপুর, চকবাজার, গুলিস্তান, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, ডিসিসি মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, বায়তুল মোকাররম, গুলশান ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাবেন আপনি ভালো মানের রাইস কুকার ও প্রেসার কুকার। তবে কেনার আগে অবশ্যই ব্র্যান্ড ও দাম যাচাই করে নিতে হবে। পাশাপাশি ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিসিং সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
ব্যবহার ও যতœ-আত্তি
রাইস কুকারের মধ্যে মেন্যু বুক দেয়া থাকে। সে দিকনির্দেশনানুযায়ী ব্যবহার করা ভালো। রাইস কুকারের নিচে শক্ত পাতলা কাঠ ব্যবহার করা যেতে পারে। রাইস কুকার ফ্লোরের ওপর রাখলে এর তাপে ফ্লোর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় পরিমাণের চেয়ে বেশি পানি দেয়ায় মাড় বের হতে পারে, সেক্ষেত্রে চটের বস্তা বা অন্য কিছু এর নিচে দেয়া যেতে পারে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করার পর কুকারটি ঠা-া হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। রান্না করা ভাত বা অন্যান্য খাবার পাত্রটি থেকে ঢেলে রাখতে হবে।
এরপর পাত্রটি হালকা গরম সাবান পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে ঠা-া পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। নরম কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে রাখুন।
রাইস কুকারের সঙ্গে ব্যবহƒত অন্যান্য সরঞ্জাম যেমনÑ মেজারিং কাপ, চামচ হালকা গরম সাবান পানিতে ধুয়ে তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে রাখুন।
রাইস কুকারের ঢাকনাটি যদি আলাদা থাকে তবে অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গেই আপনি ধুয়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু পাত্রের সঙ্গে একত্রে লাগানো হলে হালকা গরম সাবান পানি দিয়ে স্পঞ্জ করে তারপর ঠা-া পানি দিয়ে ধুয়ে, মুছে ও শুকিয়ে রাখতে হবে। পাত্রের বাইরের অংশ এবং ঢাকনার ওপরের অংশ ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে রাখতে হবে।
ধোয়া ও মোছার পর সব সরঞ্জাম প্রায় ৩০ মিনিট বাতাসে রেখে ভালো করে শুকিয়ে তুলে রাখুন।
কোনও কঠিন দাগ উঠানোর ক্ষেত্রে গ্লাস ক্লিনার পেপার টাওয়ালে স্প্রে করে দাগের ওপর রেখে মুছুন। দাগ উঠাতে কখনই পাত্রের ভেতর সরাসরি ক্লিনার স্প্রে করবেন না। কোনও পোড়া খাবার হট প্লেট থেকে তোলার জন্য শিরিশ কাগজ দিয়ে হালকাভাবে ঘষে তুলে নিন। ধারালো বা তীক্ষè কোনও বস্তু দিয়ে প্লেট ঘষলে দাগ পড়ে যাবে। যেহেতু এটি বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র, তাই এর বৈদ্যুতিক অংশে যেন পানি না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের ওঠানামায় বা অধিক ভোল্টেজে এটি সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক আছে কিনা সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন।


No comments:

Post a Comment