Thursday, May 3, 2012

বিকল্প জ্বালানির খোঁজে বাংলাদেশ

বিকল্প জ্বালানির খোঁজে বাংলাদেশ
জয়নাল আবেদীনঃ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। মানুষ প্রতিনিয়তই ছুটে চলেছে নিত্যনতুন বিকল্প জ্বালানি ও প্রযুক্তির দিকে। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় ১১০ মিলিয়ন লোকই বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত এবং মাত্র ৫০ মিলিয়ন লোক খুবই নিম্নমানের বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করে। আমাদের গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো। ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের সামগ্রিক চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়াতে হবে। বর্তমান বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট খুবই প্রকট এবং এ সংকট নিকট ভবিষ্যতে আরও প্রকটতর রূপ লাভ করবে। তাই এ সময় যেসব বিকল্প জ্বালানির সন্ধান চলছে সেগুলো জেনে নেয়া যাক।

সৌর বিদ্যুৎ : সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি সাশ্রয়ী, সহজ ও পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে বর্তমানে এ প্রক্রিয়াটি খুবই পরিচিত ও একই সঙ্গে জনপ্রিয়। আমাদের দেশে সৌর প্যানেল স্থাপনে ছোট-বড় ১৫টির মতো প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এর মধ্যে গ্রামীণ শক্তি, ব্র্যাক, জঝঋ, সৃজনী, ওউঋ ও ব্রিজ অন্যতম। ইনস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (ইডকল) নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সেক্টরে বিশ্বব্যাংক সামগ্রিক অর্থায়ন করে থাকে। সৌর বিদ্যুৎ কেবল আজকাল গৃহস্থালির বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণেই সীমাবদ্ধ নয়।

এ ব্যবহারের ক্ষেত্র ব্যাপকতা লাভ করেছে। ক্ষুদ্র সেচ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালনা, ক্ষুদ্র ও হালকা বিমান চালনা প্রভৃতিও এর আওতায় চলে এসেছে।
বাংলাদেশে ব্যবহূত এক একটি প্রমাণ সাইজের সৌর প্যানেলের দাম মোটামুটি ২৫০ ডলারের মতো। বর্তমানে ১৫-২০ হাজারের মতো সৌর প্যানেল আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। এক একটি সোলার হোম সিস্টেম (ঝঐঝ) থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ১০ বছর বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। পরে ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে খুব সহজেই আবার ঝঐঝ টিকে কর্মক্ষম করে তোলা যায়।
ঝজও কনসাল্টিংয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালের মধ্যে সৌর জ্বালানি বাজার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৭ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছবে। সোলার বেজের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে ২০০৭ সালে সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ৩.৪৪ গিগাওয়াট এবং ২০০৮ সালে ছিল ৬.৯৫ গিগাওয়াট, যা আগের বছরের তুলনায় ১১০ শতাংশ বেশি।
বিশ্বে উৎপন্ন সৌর বিদ্যুতের সর্বাধিক ব্যবহার হয় ইউরোপে এবং তা প্রায় ৮২ শতাংশ। দেশ হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহার রয়েছে স্পেনে। অতঃপর পর্যায়ক্রমে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, ইতালি ও জাপান প্রভৃতি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে, যা বর্তমানে সেখানে এটি খুবই জনপ্রিয় ও কার্যকরী বিদ্যুৎ সমাধান হিসেবে বিবেচিত।
আমাদের দেশে অতিসম্প্রতি সরকার যে দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাইলট প্রজেক্ট ঘোষণা করেছে তার একটি হল নরসিংদীর সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প।
আমাদের দেশে বিদ্যমান সৌর প্রকল্পগুলো সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন সোলার ওয়েফার ও ফটোভল্টিক গ্যাস আমরা চীন ও জাপান থেকে আমদানি করে থাকি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমাদের দেশেই এসব যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপন করা সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনায় অগ্রসর হলে ন্যূনতম দুই বছরের জাতীয়ভাবে লক্ষ্যমাত্রার ৪০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

জৈব জ্বালানি-বায়োগ্যাস : বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ হাজার বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে। এসব প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত গ্যাস দিয়ে গৃহস্থালির রান্না, হ্যাসাক বাতি প্রজ্বলন, এমনকি জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যন্ত করা হয়।

বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের অবশিষ্ট বর্জ্য জৈব সার হিসেবে কৃষিজমিতে ব্যবহার করা যায়। এসব উদ্ভিজ ও প্রাণিজ বর্জ্য থেকে একদিকে যেমন আমাদের প্রয়োজনীয় বায়োগ্যাস উৎপাদিত হয়, তেমনি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের দূষণ রোধ সম্ভব। একটি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হিসেবে এটি গ্রামীণ জীবনের জন্য খুবই উপযোগী প্রযুক্তি-পদ্ধতি।

বায়ু বিদ্যুৎ : আমাদের দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক এলাকা ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডের আওতা বহির্ভূত। এসব উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন লোকের বসবাস।

মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এসব উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুর গতিবেগ থাকে সর্বোচ্চ। ফলে এ মৌসুমে বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি সাশ্রয়ী ও উপযোগী প্রক্রিয়া। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বায়ু বিদ্যুতের ৮০ ভাগ ব্যবহার হয় জার্মানি, আমেরিকা, ডেনমার্ক, স্পেনের মতো দেশগুলোতে। অতিসম্প্রতি ভারতেও ব্যাপক হারে এর ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অধুনা যে দুটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি হল নোয়াখালীর বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প। আশা করা যায় এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা অনেকাংশে লাঘব হবে।

নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট : সাম্প্রতিক বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া হল এ নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে জৈব জ্বালানি তথা প্রাকৃতিক জ্বালানির সংকট সেখানে এ প্রক্রিয়ায় বিশাল প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৫০ ভাগ মেটায় নিউক্লিয়ার শক্তির মাধ্যমে। জাপানে ৫০টির অধিক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে ২০টি এবং আরও ১৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ছয়টি প্ল্যান্ট নির্মাণাধীন। ফ্রান্স তার সামগ্রিক বিদ্যুৎ চাহিদার ৭৫ শতাংশ মেটায় এ প্রক্রিয়ায়। নিউক্লিয়ার বিদ্যুতের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র রয়েছে সুপার পাওয়ার আমেরিকার হাতে। আমেরিকার ১১০টির মতো নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এছাড়া চীনে ১১টি, ভারতে ১৭টি এবং পাকিস্তানে তিনটি করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রস্তুত করতে ছয় থেকে সাত বছর সময় লাগে এবং এক একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট।

এক একটি ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট তৈরিতে আনুমানিক খরচ পড়ে ৫ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অংকে ৩ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। এরূপ একটি নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট তৈরির ব্যয় সক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বা গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুমানিক ব্যয়ের দ্বিগুণ থেকে পাঁচ গুণ। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর পরিচালন ব্যয় অনেক কম এবং তা অন্যান্য জ্বালানি ব্যয়ের মতো অস্থিতিশীল নয়।
বাংলাদেশের রূপপুরে এরকম একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরূপ প্ল্যান্টে ১৮ থেকে ২৪ মাস পরপর নতুন জ্বালানি দিতে হয় এবং পুরনো বর্জ্য খুব সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হয়। ১ হাজার মেগাওয়াটের এ রকম একটি প্রকল্প চালু করতে জাতীয় গ্রিডের ক্যাপাসিটি লাগবে কমপক্ষে ১০ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু বাংলাদেশের রয়েছে ৪ হাজার মেগাওয়াট। এক্ষেত্রে জাতীয় গ্রিডের ক্ষমতা বাড়াতে ভারত কিংবা মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি রয়েছে মোটামুটি ১৮টি দেশের হাতে। এর মধ্যে 90 শতাংশ মজুদই ৭টি দেশ নিয়ন্ত্রণ করে।
বর্তমান বিশ্বে নিউক্লিয়ার জ্বালানি ইউরেনিয়ামের মজুদ রয়েছে 3 মিলিয়ন টন, যা চলবে 100 বছর। কিন্তু ইউরেনিয়ামের স্থলে যদি ভারি মৌল থোরিয়াম ব্যবহার করা যায় তাহলে চলবে কয়েক বিলিয়ন বছর।
ভারত তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে থোরিয়াম ও ইউরিয়াম মিশিয়ে ফুয়েল রড প্রস্তুত করে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি সরবরাহ করে যাচ্ছে। নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র তৈরি করার প্রক্রিয়া যেমন একদিকে জটিল, তেমনি এর আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার পর সেটাকে পরিত্যাগ করা বা নতুন করে তৈরি করার প্রক্রিয়া কিন্তু অনুরূপভাবেই জটিল ও ব্যয়সাধ্য। সুতরাং নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে পরিত্যাগ করার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঝুঁকিও সামলাতে হয়। কেননা নিউক্লিয়ার বর্জ্য প্রায় 10 হাজার বছর পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় থাকে।
এসব প্ল্যান্টের দুর্ঘটনাও মারাত্মক ও জীবন বিধ্বংসী। রাশিয়ার চেরোনোবিল ও যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি-মাইল আইল্যাল্ড এর জ্বলন্ত উদাহরণ। অতএব, এ প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের গভীর পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে।

হাইব্রিড পাওয়ার প্ল্যান্ট: হাইব্রিড সোলারাইজড গ্যাস টারবাইন পাওয়ার স্টেশন বা হাইব্রিড পাওয়ার প্ল্যান্ট বর্তমান সময়ের সর্বাধিক নতুন ধরনের এক বিদ্যুৎ উৎপাদন কৌশল। সাধারণত মরুভূমি বা মরুভূমিপ্রবণ অঞ্চলে এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সবচেয়ে উপযোগী। ইসরাইলের কিব্বুতের মরুভূমিতে বিশ্বের প্রথম প্রযুক্তিতে হাইব্রিড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। এ প্রযুক্তিতে অনেক কাচের প্যানেল ভূমিতে নির্দিষ্ট কৌণিক অবস্থানে স্থাপন করে রাখা হয়। এসব প্যানেল থেকে সৌররশ্মি বিম্বিত হয়ে সৌর টাওয়ার পড়ে সেখানে 1100 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি ক্ষুদ্র টারবাইন ঘুরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।


তাপবিদ্যুৎ: কয়লা ও গ্যাস বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক উৎসের অন্যতম হল তাপবিদ্যুৎ। তাপবিদ্যুতের প্রধানতম জ্বালানি হল কয়লা ও গ্যাস। দেশের একমাত্র বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল, যার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় 250 মেগাওয়াট। কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে ভারত তৃতীয় স্থানে। ভারত তার মোট চাহিদার প্রায় 70 শতাংশ বিদ্যুৎ কয়লা ব্যবহার করে উৎপাদন করে থাকে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা কয়লার ওপর নির্ভরশীল হলেও, আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত কয়লায় আমরা স্বয়ংসম্পুর্ন নয়। ফলে প্রতিবছর আমাদের প্রায় 50 লাখ টন কয়লা বিশ্ববাজার থেকে আমদানি করতে হয়। আর বিশ্ববাজারে কয়লার দাম সব সময়ই অস্থিতিশীল। দেশে উৎপাদিত কয়লার টনপ্রতি মূল্য 50 মার্কিন ডলার হলে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় তিন টাকা। কিন্তু বিশ্ব বাজারে সাধারণত টনপ্রতি কয়লার দাম 65 থেকে 80 মার্কিন ডলার থাকে। যার সঙ্গে পরিবহন ব্যয় যুক্ত হয়ে কখনও কখনও 100 থেকে 150 ডলারে পৌঁছায়।

টনপ্রতি কয়লার দাম যখন হয় 100 টাকা, তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ইউনিটপ্রতি 4 টাকা। যদি কোনও কারণে টনপ্রতি 150 টাকা মূল্য হয়, তখন ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের খরচ দাঁড়ায় 5 টাকার বেশি। কিন্তু আমরা বর্তমানে 2.50 টাকা থেকে 3 টাকা ইউনিটপ্রতি পরিশোধ করে থাকি।
আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কথা আজ আর কারও কাছেই নতুন নয়। কেবল রাজধানী ঢাকাতেই বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে 2200 মেগাওয়াটের মতো, কিন্তু সরবরাহ রয়েছে মাত্র 1185 মেগাওয়াট। সেই মৌসুমে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ওপর আরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় তখন 1150 মেগাওয়াট বিদ্যুতের নতুন চাহিদা পূরণ করতে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়ে যায় অভাবনীয়ভাবে। আমাদের এ সংকট মোকাবেলা ও আগামীর সঙ্গে টিকে থাকার প্রত্যয়ে আমাদের অবশ্যই বিকল্প কোনও শক্তির উৎস নিয়ে ভাবতে হবে এবং সেই সঙ্গে বিদ্যমান প্রকল্পগুলোকে আরও কার্যকরী করে গড়ে তুলতে হবে।
Source: http://www.theanuranan.com

No comments:

Post a Comment