Sunday, May 6, 2012

বিকল্প বিদ্যুতের সন্ধানে: সৌরবিদ্যুতের উদ্ভাবনী ব্যবহার

বিকল্প বিদ্যুতের সন্ধানে:

সৌরবিদ্যুতের উদ্ভাবনী ব্যবহার

একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য দরকার বিদ্যুৎ। আমাদের বিদ্যুতের ঘাটতি অনেক। প্রচলিত পথে এ সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি জোর দেওয়া প্রয়োজন এর বিকল্প ও উদ্ভাবনী ব্যবহার। কেবল সেচ মৌসুমে সৌরবিদ্যুৎচালিত পাম্প ব্যবহার করে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব বলে মনে করেন গবেষক ও প্রযুক্তিবিদেরা। পরিবর্তক (ইনভার্টার) ও ব্যাটারি ছাড়াই হয়তো এ পাম্প চালানো সম্ভব। দেশে সৌরবিদ্যুতের প্রচলিত ও উদ্ভাবনী ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন তারিকুর রহমান খান

গ্রামের পাশ দিয়ে নদী। সেই গ্রামে বাস করে ছোট একটি পরিবার। পরিবারে স্বামী, স্ত্রী, ছোট মেয়ে ও মাকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। গঞ্জে একটি দোকান আছে কর্তার। পরিবারের সবার আদরের ছোট মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে পাশের গ্রামের স্কুলে। স্ত্রী আর মা মিলে করে ফেলে রান্নাবান্নাসহ বাকি কাজগুলো। ভালোই কাটছে তাদের দিন। সৌরবিদ্যুতের আলোতে চলছে কর্তার গঞ্জের দোকানটি। এতে রাতে বিক্রি বেড়েছে দোকানের। বাড়ির ফ্যান, বাতি ও টেলিভিশনসহ সবকিছু চলছে সৌরবিদ্যুতে। আদরের মেয়ে পড়ালেখা করতে পারছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা ছাড়াই। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েটির পরীক্ষার ফলাফলও তাই ভালো। ওদের নিজেদের ভাষায় ওদের বদলের হাতিয়ার সৌরবিদ্যুৎ।

দেরিতে হলেও বিদ্যুতের বিকল্প উৎস হিসেবে আমাদের দেশে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। গ্রামের ওই পরিবারের পাশাপাশি খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও সৌরবিদ্যুৎ (সোলার সিস্টেম) ব্যবহার করা হবে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এ প্লান্ট থেকে শিগগির ২০ থেকে ২১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৬৪টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে, যার কম্পিউটারগুলো চলবে সৌরবিদ্যুতে।
একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য বিদ্যুৎ খুবই অপরিহার্য। ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া হোক, কম বিদ্যুতের কম্পিউটার চালানো হোক, মাঠে সেচের মোটর চালানো হোক, কিংবা নতুন প্রজন্মকে রাতে পড়তে দেওয়া হোক—সবকিছুতেই সৌরবিদ্যুতের উদ্ভাবনী ব্যবহার বিদ্যুতের সমস্যার ভিন্নতর সমাধান হাজির করতে পারে।
দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট হলেও উৎপাদিত হচ্ছে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। ঘাটতি রয়েছে গড়ে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এ কথা সত্য যে, এই ঘাটতি পূরণ এবং ভবিষ্যতের চাহিদা শুধু গ্যাস ও কয়লা দিয়ে মেটানো সম্ভব হবে না; দরকার বিকল্প সব পদ্ধতি। প্রাথমিক পর্যায়ে সোলার ও বায়োগ্যাসের সহায়তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে প্রায়োগিক উদ্যোগ ও গবেষণা দুটিরই প্রয়োজন।

হাটে-মাঠে-ঘাটে

দেশে বাণিজ্যিকভাবে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে কাজ করছে—এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মূল লক্ষ্য প্রচলিত বিদ্যুতের ওপর চাপ কমানো। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের কয়েক বছর পর থেকে রহিমআফরোজ সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের উন্নয়ন ও প্রসারে রহিমআফরোজ রিনিউঅ্যাবল এনার্জি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি ডিপ সাইকেল ব্যাটারি, চার্জ কন্ট্রোলার ও সৌরবাতি উৎপাদনে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে রহিমআফরোজের হোম সিস্টেম প্রথম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করে। সূর্যের আলোর কণা সোলার মডিউলে পড়লেই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এ বিদ্যুৎ ব্যাটারিতে জমা হয়, যা দিয়ে রাতের বেলায় বা মেঘলা দিনে বাতি জ্বালানো যায়। সোলার হোম সিস্টেমে চার্জ কন্ট্রোলার ব্যাটারিকে অতিরিক্ত চার্জ ও ডিসচার্জ হওয়া থেকে রক্ষা করে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বিতরণ করে। ২০ থেকে ৭৫ ওয়াটের হোম সিস্টেমে দুটি ফ্লোরোসেন্ট ও দুটি এলইডি বাতি থেকে ছয়টি ফ্লোরোসেন্ট এবং তিনটি এলইডি লাইট অথবা দুটি লাইটের পরিবর্তে একটি সাদাকালো টিভি চালানো যায়। দৈনিক চার ঘণ্টা চালানো যায়।
রহিম আফরোজের আরেকটি বড় প্রকল্প হচ্ছে সোলার সেচপাম্প। সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে ব্যবহার করা এ পাম্প দৈনিক পাঁচ হাজার থেকে ৫০ হাজার লিটার পানি ওঠাতে পারে। পরিবেশ-সহায়ক এ সৌরপাম্প শব্দ ছাড়াই চলে। প্রারম্ভিক খরচ বেশি হলেও সৌরবিদ্যুতের চলতি বা উৎপাদনের খরচ কম। নেই বললেই চলে। ব্যাটারির রক্ষণাবেক্ষণ ও ইনভার্টার সার্কিটের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়। সৌরপাম্পের বেলায় ২০ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায়। এটি পরিচালনার জন্য সারাক্ষণ নজরদারির প্রয়োজন হয় না, ফলে বেঁচে যায় কৃষকের মূল্যবান সময়। সাভারের ভাকুর্তায় ২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর ২০ একর জমিতে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি চালু করে প্রতিষ্ঠানটি।
টেলিকম সিস্টেমে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করেছে রহিমআফরোজ। বিটিএসের ছয়টি প্রকল্প এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। অনেক পানি একসঙ্গে গরম করার জন্য ওয়াটার হিটিং হিটার ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়টিও সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালনা করা যায়। এতে একসঙ্গে ৩০ লিটার পর্যন্ত পানি গরম করা যায়। এ ছাড়া রহিমআফরোজ বর্তমানে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে কম্পিউটার সলিউশন, মেডিকেল রেফ্রিজারেটর, নৌ দিকনির্দেশনা, টেলিকমিউনিকেশন, সিগন্যালিং, সোলার লণ্ঠন, সোলার সড়কবাতি, বিল্ডিং ইন্টিগ্রেটেড ফটোভোল্টেইক সিস্টেম এবং নদী ও রেললাইন সিস্টেমে সিগন্যাল-বাতি ব্যবস্থার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় কিলোওয়াটের একটি প্রকল্পে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠান।

বুয়েটের গবেষণা

প্রচলিত বিদ্যুতের পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎকে অন্যভাবেও ব্যবহার করা সম্ভব। সে রকম একটি সম্ভাবনাকে কাজে পরিণত করার জন্য কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনোলজির পরিচালক লুত্ফুল কবীর। দেশে প্রি-পেইড এনার্জি মিটার ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সফল উদ্ভাবক এ গবেষক-প্রযুক্তিবিদের এবারের লক্ষ্য সেচকাজে বিদ্যুতের ভিন্নতর ব্যবহার।
সৌরবিদ্যুতের প্যানেল থেকে পাওয়া যায় ডিসি (ডিরেক্ট কারেন্ট) বা সমবিদ্যুৎ। আমরা যে বিদ্যুতের সঙ্গে পরিচিত, এটি তার থেকে ভিন্ন। সব সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থাকে একটি পরিবর্তক (ইনভার্টার), যা সমবিদ্যুৎ প্রবাহকে পরিবর্তী প্রবাহে (এসি) পরিণত করে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মাত্রই জানে, এ রকম অবস্থা পরিবর্তনে ব্যবহারযোগ্য শক্তির পরিমাণ হ্রাস পায়। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, এ বিদ্যুৎকে সংরক্ষণ করতে হয়। এ জন্য লাগে ব্যাটারি সিস্টেম। অর্থাৎ সৌরবিদ্যুৎ কাজে লাগাতে হলে দরকার পরিবর্তক ও ব্যাটারি। তার ওপর আছে সূর্যের তাপের হেরফের। ফলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কমবেশি হয়।
ড. কবীর কাজ করছেন এ তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে। ‘প্রথমত, আমরা যদি এমন কোনো কাজে এ বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, যেখানে সমবিদ্যুৎই কাজে লাগে, তাহলে আমাদের আর পরিবর্তকের দরকার হবে না। সমবিদ্যুতে চলে এমন কোনো মোটর যদি ব্যবহার করতে পারি, তাহলে এটা সম্ভব। দ্বিতীয়ত, আমরা যে কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, সেটা যদি দিনের বেলায়, অর্থাৎ যখন বিদ্যুৎ তৈরি হবে, তখনই ব্যবহার করা যায়, তাহলে আর ব্যাটারি সিস্টেমের প্রয়োজন হবে না। সর্বোপরি আমরা যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব, সেগুলোকে এমনভাবে চালানো যায়, যাতে কম বা বেশি উৎপাদন উভয় ক্ষেত্রেই সচল থাকবে।’ জানালেন তিনি।
কাজের ক্ষেত্র হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন সেচকাজ। কবীর বলেন, ‘দিনের বেলায় যখন সূর্য মাঠে থাকবে, তখনই এ পাম্পগুলো চলবে। রাতের বেলায় পাম্প চালাতে হবে না। কাজেই ব্যাটারি লাগছে না। পাম্পগুলো চলবে সমবিদ্যুতে। ফলে পরিবর্তকও লাগছে না।’ সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে সেচপাম্প চালানোর জন্য তাঁর উদ্ভাবিত বিকল্প পদ্ধতিতে পাঁচটি পাম্প রয়েছে। সূর্যের সর্বোচ্চ আলোতে, মানে দুপুরে যখন আলো বেশি থাকবে, তখন পাঁচটি পাম্পই চালু থাকবে। আবার যখন সূর্যের আলো কমে যাবে, বিকেলে বা সকালে পাঁচটি পাম্পের চাপ নিতে সমস্যা হয়। তখন সূর্যের কম আলোতে দুটি বা তিনটি পাম্প চলবে। এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় দিক হলো, কখনোই সব পাম্প একসঙ্গে বন্ধ থাকবে না। সবসময় কোনো না কোনো পাম্প চালু থাকবে। দিনের বেলায় যেহেতু সেচের কাজটি হয়ে যাবে, কাজেই রাতের বেলায় কৃষকের বাড়তি মনোযোগ লাগবে না। আর যখন বৃষ্টি হবে, তখন পাম্প চালানোর প্রয়োজনই হচ্ছে না। কারণ, তখন বৃষ্টি থেকে সেচের পানি পাওয়া যাবে।
এখন পর্যন্ত যেসব পাম্প পাওয়া যাচ্ছে, তাতে গভীর নলকূপ চালানো হয়তো সম্ভব হবে না, কিন্তু কাছাকাছি নদী বা জলাভূমি থেকে পানি উত্তোলন এবং বিশেষ করে, গভীর নলকূপ থেকে তুলে আনা পানি এক স্থান থেকে সমতলে অন্য স্থানে সরবরাহ করার জন্য বেশ কাজে লাগবে। ড. কবীর বুয়েটের পুরকৌশল ভবনের ছাদে তাঁর পরীক্ষামূলক ব্যবহারও শুরু করেছেন। তিনি জানালেন, ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা সহায়তা পেলে এ পদ্ধতির একটি পাইলট প্রকল্প চালু করা সম্ভব হবে। দুই পদ্ধতিতে পরিচালিত সেচপাম্প থেকে দুটি ব্যবস্থার ভালো-মন্দ দেখা সম্ভব হবে।
তবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো এর খরচ। বর্তমানে এক ওয়াট বাতির জন্য চার ডলার খরচ করতে হয়। কবীরের মতে, এটি এক ডলারে নামিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে জোরদার গবেষণা করা প্রয়োজন। তা ছাড়া পাইলট প্রকল্প গ্রহণের বেলায় ১০ বছরের সৌরবিদ্যুতের চাহিদা মাথায় রাখা প্রয়োজন।

আরও গবেষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা কেন্দ্র সারা দেশের সৌরবিদ্যুতের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। কোন এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে কাজ করতে হলে কী পরিমাণ তাপ দরকার, তা এ জরিপ থেকে জানা গেছে। সৌরবিদ্যুতের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। এ কেন্দ্র সৌরবিদ্যুৎ-চালিত বিভিন্ন প্রকল্পের নানা দিক সাধারণের মধ্যে তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। এ ছাড়া রয়েছে এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ভবিষ্যতে এ কেন্দ্রে মাস্টার্স ও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হবে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রটি অতিসম্প্রতি কম খরচে ব্যবহারের উপযোগী সৌরবিদ্যুৎ-চালিত একটি পানির পাম্প উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ গবেষণাকারী আরেকটি প্রতিষ্ঠান প্রকৌশলী সংসদ। প্রকৌশলী সংসদের নির্বাহী পরিচালক আসমা হক বলেন, ২০০৩ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ১২ লাখ বাড়ি সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে। বর্তমানে প্রকৌশলী সংসদ নোয়াখালী জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় একটি ১০০ কিলোওয়াটের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শেষ কথা

প্রচলিত বিদ্যুতের সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া দুরূহ ও ব্যয়সাধ্য। কিন্তু সৌরবিদ্যুতের উদ্ভাবনী ব্যবহার আমাদের প্রচলিত বিদ্যুতের চাহিদার চাপ কমাতে পারে। এ জন্য দরকার দেশীয় গবেষকদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা, মাঠে-ময়দানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারের একাধিক প্রয়োগযোগ্য ও সস্তা মডেল উদ্ভাবনের প্রতি জোর দেওয়া।
প্রকৃতি প্রদত্ত সূর্যালোকের সঠিক ব্যবহার আমাদের বদলের প্রকৃত হাতিয়ার হয়ে উঠুক—এ প্রত্যাশা সবার।

তারিখ: ২১-০৩-২০১০

Source: http://www.prothom-alo.com

 

No comments:

Post a Comment