Sunday, May 6, 2012

কাউখালীর ২০টি গ্রাম সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত

কাউখালীর ২০টি গ্রাম সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত 

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামাঞ্চলে বিদুৎবঞ্চিত মানুষের কল্যানে সৌর বিদুৎতের আলোতে আলোকিত করছে ৪টি বেসরকারী সংস্থা।

বিশেষ করে নদী বেষ্টিত দ্বীপ অঞ্চলের ২০ টি গ্রামে ২০০৩ সাল থেকে সৌর বিদুৎ নিয়ে কাজ করছেন বেসরকরী সংস্থা গ্রামীন শক্তি, ব্র্যাক, ব্রীজ ও সৃজনী বাংলাদেশ। উপজেলার ধাবড়ী, সোনাকুর, কেশরতা, আমরাজুড়ী, ডুমজুড়ী, মেঘপাল, হোগলবেতকা, হরিণধরা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০০ গ্রাহক সৌর বিদ্যুতের আওতাধীন রয়েছেন।

গ্রামীন শক্তির ম্যানেজার সুমন মিস্ত্রী জানান, প্রতিটি সোলারের মূল্য ১১৭০০/- থেকে ৭৫৪৩৮/- টাকা পর্যন্ত। গ্রাহকগণ ইচ্ছা করলে এককালীন কিংবা তিন বছর মেয়াদী কিস্তিতে সোলারের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। কাউখালীতে গ্রামীন শক্তির অধীনে প্রায় ১০০০ গ্রাহক আছে, ব্র্যাকের  সৌর বিদ্যুতের অধীনে প্রায় ১০০০ গ্রাহক, সৃজনী বাংলাদেশ এর অধীনে ৫০০, এবং ব্রিজের অধীনে ৩০০ জন গ্রাহক রয়েছে।

বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক ম্যানেজার নাহার ইসলাম জানান, ৫০ ওয়াট সোলারের নগদ মূল্য ২৬৫০০/- এবং কিস্তিতে ২৮৮০০/- টাকায় বিক্রি হয়। তিন বছর মেয়াদী প্রতি কিস্তিতে ৮০০/- টাকা করে পরিশোধ করতে হয়। ৭৫ ওয়াট সোলারের নগদ মূল্য ৩৮০০০/- টাকা কিস্তিতে ৪৯০০০/- টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

পি.ও সোলার ব্র্যাক, কবির হোসেন জানান, উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎহীন দূর্গম এলাকায় জনসাধারনের মধ্যে সোলার হোম সিষ্টেম স্থাপনের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

সৌর বিদুৎতের গ্রাহক রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল্লনাহার মাষ্টার বলেন, এখন আমরা হারিকেন বা কুপির বাতির পরিবর্তে সৌর বিদুৎতের স্বচ্ছ আলো পাচ্ছি।

কম্পিউটার ব্যবসায়ী মোঃ তারিকুল ইসলাম পান্নু জানান সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারের ফলে লোড শেডিং এর বিড়ম্বনায় পড়তে হয়না বলে সৌর বিদুৎ খুবই ভাল।

সরজমিনে দেখা গেছে গ্রামের মানুষ এখন সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে বাতি, ফ্যান, টিভি ও মোবাইলের ব্যাটারী চার্জে অপরিহার্য্য ভূমিকা পালন করছে। সৌর বিদ্যুৎ থাকার কারনে এলাকায় চুরি ডাকাতি কমছে।

Source: http://dhakareport24.com, 6th may, 2012

No comments:

Post a Comment