Sunday, May 6, 2012

সৌর বিদ্যুৎ এবং বাংলাদেশ

সৌর বিদ্যুৎ এবং বাংলাদেশ

চাহিদা বাড়ছে ভবিষ্যতে এর মূল্য আকাশ ছোয়া হয়ে যাবে, আর সোলার এনার্জি অনেক কম খরচে ব্যবহার করা যায়। তাই সরকারকে সোলার এনার্জির জন্য সাধারন মানুষকে জাগ্রত করে তুলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে রিনিউয়েবল এনার্জি যেমন সোলার এবং ক্লীন বায়ু পাওয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে ৮০ শতাংশ এনার্জির চাহিদা মেটাতে সৰম হবে। সোলার সেলঃ সোলর সেল অথবা ফটোভলটেইক সেল এমন একটি ডিভাইস যা আলোর শক্তিকে বদ্যুতিক শক্তিতে রূপানত্দর করে। মাঝে মাঝে কোন কোন যন্ত্রপাতিতে সোলার সেল ব্যবহার করা হয় যেন তা সূর্যরশ্মি থেকেকারন এক্ষেত্রে কোন কিছুর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না। আর মাসে কোন ধরনের বিল পরিশোধের সমস্যা থাকবে না। সূর্য প্রতিদিনই আমাদের আলোকরশ্মি দিয়ে যাচ্ছে। এমন কোন দিন নেই যে সূর্য তার আলোকে পৃথিবী আলোকিত করে না। এই পৃথিবী আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। প্রথম প্রথম হয়তো একে কিছুটা ব্যয়বহুল মনে হবে। কিন্তু একবার তৈরী করার পর সোলার বিদ্যুৎ আপনাকে শুধু লাভই দিয়ে যাবে। সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ন যা, তা হল এর মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করছি। এখনই সময় বাংলাদেশের ঘুরে দাড়ানোর, যার প্রথম পদক্ষেপই এটি হতে পারে।
বিপনী-বিতান গুলোতে এনার্জির বিকল্প ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা উচিতঃ বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় অনেক বিপনী-বিতান গড়ে উঠছে যার সবগুলো বিদ্যুতের ওঠানামার শিকার। এসব ব্যাবসার মাধ্যমে অনেক সাধারন মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই তাদের জন্য এগুলোর টিকে থাকার অনেক প্রয়োজন। সাথে এসব ব্যাবসা সাধারন মানুষ এর চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। এই ব্যাবসা সমূহ আরও উন্নত করতে হলে এর এনার্জির বিকল্প ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা উচিত। এতে তাদের বাড়তি কোন বিলও প্রদান করতে হবে না। এ লক্ষ্যে বিকল্প এনার্জি হিসেবে ব্যাটারি সেল বা সোলার এনার্জি ব্যবহার করা যায়। ফলে যেসব জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পৌছায়নি সেখানেও ব্যাবসা করা সম্ভব হবে।বাড়ি বা এপার্টমেন্টগুলোতে সোলার এনার্জির ব্যবাহরঃ বাড়ি বা এপার্টমেন্টগুলোতে বিদ্যুৎতের এই ওঠানামা সীমাহীন ভাবে বেড়ে চলেছে। ঢাকা সিটিতে এই সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারন এখানে ব্যবহারের পরিমান উৎপাদন হতে অনেক বেশী। এটি সাধারন মানুষকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। কারন বিদ্যুৎ না থাকলে বাতি-পাখা কিছুই চালানো যায় না। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপরও এটি খারাপ প্রভাব ফেলছে। এটি শিশুদের বেড়ে ওঠায় এবং পড়াশুনায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এছাড়া যেসব বিল্ডিং গুলোতে লিফট্ চলছে, বিদ্যুৎ এর এই সমস্যা যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। ঢাকায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ছোট শহরগুলোতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি হচ্ছে। সেখানে মানুষ বাড়িতে জেনারেটর বা আইপিএস ব্যবহার করতে পারছে না। যার ফলে তাদের এই অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। এসব সমস্যা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে বিদুৎ এর একটি উৎপাদন পদ্ধতি দ্বারা কখনোই এই সমস্যা মেটানো সম্ভব না। তাই আমাদের উচিত সোলার এনার্জি ব্যবহার করা।
ইন্ডাষ্ট্রীয়াল/কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিজেস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাঃ মানুষ যত উন্নত হচ্ছে বিশ্ব ততই উন্নতির শিখরে পৌছাচ্ছে। এশিয়া মহাদেশও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে তাই বাংলাদেশকেও এর প্রতিযোগী হতে হবে। আমরা ইমপোর্ট ও এঙ্পোর্টের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে ব্যবসা করার ক্ষমতা রাখি। এর দ্বারা দেশের সম্পদ বাড়ে এবং নানা ধরনের জিনিস ব্যবহার করে জাতি উন্নতি করতে পারে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাষ্ট্রীগুলো বিশ্ব বাজারের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারনে বিভিন্ন কোম্পানী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং কোম্পানীগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্কেলকে দিন দিন নামিয়ে দিচ্ছে। বৈদ্যুতিক ওঠানামার কারনে আমরা কোন কিছু সময় মত করতে পারছিনা। কিন্তু বিশ্ব বাজারে কেউ কারও জন্য অপেক্ষা করে না। ফলে আমাদের সামনে এগোনোর আর কোন সুযোগই হয়ে উঠেনা। তাই বর্তমান সময়ের সাথে চলতে হলে আমাদের ইন্ডাষ্ট্রী গুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সোলার পাওয়ার গড়ে তুলতে হবে। যার মাধ্যমে নিজেদের ও চারদিকের পরিবেশকে উন্নত করে আমরা অর্থনৈতিক স্কেলকেও উন্নত করতে পারবো। আর এটি সম্ভব হলে সরকার হতে নেওয়া যে কোন পদক্ষেপ সহজ ভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে।
সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহেঃ এজেন্সী ও মিনিষ্ট্রি সহ সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম। আর এই দিকে সাফল্য পেতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কাজের হার দ্রুত করতে হবে। বর্তমানে বেশীর ভাগ কমিউনিকেশন করা হয় মেশিনে যা বিদ্যুৎ নির্ভর। আর বিদ্যুতের যে কোন সময় উঠানামার কারনে সময়মত কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।নিরাপত্তায়ঃ আমরা যদি শীঘ্রই বর্ডার এর সেফগার্ড এবং ভিতরকার অপরাধ গুলোকে কন্ট্রোল করতে না পারি তাহলে দেশের জনগন তাদের নিরাপত্তা হারাবে। আধুনিক স্বাধীন দেশগুলোতে শক্তির সাপস্নাই এবং বৈদ্যুতিক অংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক দখল করে রেখেছে। বর্ডার ক্রস করে আমাদের দেশে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করছে। এসব সন্ত্রাসীদের যেসব যন্ত্র দ্বারা ডিটেক্ট করা যায় সে গুলোও বিদ্যুৎ নির্ভর। আবার বাংলাদেশের হাইওয়ে গুলোতে এবং রাস্তা গুলোতেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই বলে সকল ধরনের অপরাধ প্রতি নিয়ত ঘটছে। এসব ধরনের সমস্যা মিটাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা প্রয়োজন। এর ফলে চাহিদার সবটুকুই পাওয়া যাবে এবং কোন ধরনের বিল পরিশোধ করার ঝামেলাও থাকবে না।
আর এর ফলে বর্ডারে বেশী পরিমান আলোর ব্যবস্থা করলে এর নিরাপত্তাও বহাল থাকবে এবং আমাদের রাস্তা সমূহের ও উন্নতি সাধন করে জীবন যাত্রার মান উন্নত করা যাবে। সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল হবে ফলে আমাদের দেশও বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগী হতে পারবে।

প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে বিদ্যুৎ পৌছায়নিঃ বাংলাদেশে এখনও এমন কিছু স্থান রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ পৌছায়নি। এসব মানুষ কিভাবে বসবাস করে? হারিকেন এবং মোমবাতি দিয়ে তাদের সকল কাজ সম্পাদন করতে হয়। যেখানে হারিকেনের জন্য তেলের ব্যবস্থা করা ছাড়া তাদের আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাই অপেক্ষা না করে বিদ্যুৎতের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। এখানে অনেক ধরনের শক্তির উৎস থাকলেও সোলার এনার্জি ব্যবহার সুবিধা জনক। এর উৎপাদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ, অনেক বেশী কার্যকর যা আমাদের সারা জীবন সুবিধা দিতে পারবে। তাই সোলার পাওয়ারকে রিনিউয়েবল এনর্জির ভাল সোর্স বলা হচ্ছে। সোলার পাওয়ার স্থাপনে ঋণ এবং সহযোগিতা: অপশন সাধারন মানুষকে তাদের নিজেদের ইনভেষ্টে লাভ করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ধরা যাক, প্রতি ফ্যামিলি মাসে ১০০ টাকা ইনভেস্ট করে। তাহলে ১০০ *৪০০ মিলিয়ন এর ফলাফল একটি বড় পরিমান। কেউ মোট পরিমানের কমও ইনভেস্ট করতে পারবে না আবার একবারে এর বেশীও না। ব্যবহার পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় কোন বাসায় ১০ জন আবার কোনবাসায় ২জন ব্যবহার করছে কিন্তু দুই পক্ষই ১০০ টাকা দিবে। এটি অনেকটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হবে।
অপশন ২ সরকারের পক্ষ হতে লটারি ছাড়া যায়, এবং বিক্রীকৃত লটারীর ফান্ড হতে সোলার উন্নয়ন করা যেতে পারে।
অপশন ৩ গভর্নমেন্ট মানুষের থেকে প্রতিমাসে চাঁদা গ্রহন করে তা সোলার পাওয়ার তৈরীতে মাসিক চাঁদা হিসেবে রাখতে পারে।
অপশন ৪ কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা ভলান্টিয়ার টিম তৈরী করে সোলার পাওয়ার এর উন্নয়নে কাজ করানো যায়।
অপশন ৫ প্রাইভেট ইনভেস্টকারীদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত সোলার সিস্টেম তৈরী করতে এবং এতে সহযোগিতা করতে।
অপশন ৬ জনসমক্ষে মাইকিং করে ছোট শহরের দোকান গুলোতে এবং গ্রাম গুলোতে মানুষকে সোলার পাওয়ার স্থাপনে মনযোগী করে তুলতে হবে।
অপশন ৭ শক্তির এই বিভাগের জন্য ব্যাংক গুলো কম সুদে পুরো টাকা লোন দিতে পারে। এটি যেহেতু অনেক দীর্ঘ সময়ের প্রজেক্ট তাই এর দ্বারা ব্যাংক, ইনভেস্টকারী এবং অন্যান্য সবার জন্য লাভজনক ফলাফল আনতে পারে। অপশন ৮ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সোলার প্রজেক্ট তৈরীর জন্য সক্ষম করা উচিত যার মাধ্যমে মানুষ তার পচ্ছন্দ মত প্রতিষ্ঠান হতে কম টাকায় এর সুবিধা নিতে পারবে। আর সরকারের পক্ষ হতে শুধুমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে এটি তৈরী করতে পারে।
একটি শান্তিপূর্ন দেশ ও একটি ভাল সরকারের মূলে রয়েছে এনার্জি। একটি সুন্দর ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে, যে বাঙ্গালীরা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে পারে তারা আধুনিক বিশ্বে একটি আধুনিক জাতিতে পরিনত হতেও যে কোন কিছু করতে পারে এবং বিশ্বের সকল ধনী দেশগুলোর মাঝে মুখ তুলে দাড়াতে পারে। এই রিপোর্টটি শুধুমাত্র একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরীর জন্য করা হয়েছে এবং এর স্বপ্ন হল একটি সুন্দর জীবনের এবং একটি ভাল ভবিষ্যতের। যা দ্বারা বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হয়ে থাকতে পারে।সোলার মাইক্রো গ্রীডঃ চট্রগ্রামের সন্দীপ এ দ্বীপ পুরোবী গ্রীণ এনার্জি লিমিটেড এর মাইক্রো গ্রীচের উপর ভিত্তি করে আইডিসিওএল বোর্ড ১০০-কিলোওয়াট এর সোলার ফটোভলটেইক (পিডি) তৈরীর ঘোষনা দিয়েছে। সোলার রেডিয়েশন যখন কম থাকবে তখন এই পাওয়ার প্লানটি ব্যবহার করার জন্য এতে ৪০ কিলোওয়াট এর ডিজেল জেনারেটর ইন্টিগ্রেট করা হবে। এটি উৎপাদনে মোট ৫৫.৩৭ মিলিয়ন টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।বাংলাদেশে রহিমাফরোজের সোলার পিভি সিস্টেমঃ ১৯৮৬ সাল থেকে পাইওনিয়ার সংস্থার রহিমাফরোজ বাংলাদেশে সোলার এনার্জি নিয়ে রিসার্চ এবং এর ব্যানিজ্যিক ব্যবহার নিয়ে জড়িত আছেন। প্রাইভেট, গভর্নমেন্ট এবং এনজিও এর মত একসাথে কাজ না করে রহিমাআফরোজ সোলার এনার্জি নিয়ে সম্পূর্ণ একাই রিসার্চ করছিলেন।
রহিমাফরোজের সাধারন মানুষের জন্য তৈরীকৃত সোলার ব্যাটারী, কন্ট্রোলার পরিবর্তন, স্ট্রাকচার মাউন্টিং এবং অন্যান্য প্রোডাক্ট গুলো কোয়ালিটি যুক্ত কিন্তু এর মাধ্যমে এটি সিস্টেমটির মূল্য অনেক কমিয়ে দিচ্ছে। গ্রামীন এলাকার জন্য রহিমাফরোজের এসপিভি সিস্টেমের ব্যবস্থা গুলো হল- সোলার পিভি লণ্ঠন, ঘরে ঘরে লাইটিং সিস্টেম, ছোট এবং মাঝারী ধরনের এসপিভি সিস্টেম, এসি এসপিডি পাওয়ার প্লান্ট কেন্দ্রীভূত করা, গরম পানির সোলার সিস্টেম, ভ্যাকসিন রেফ্রিজারেশন সোলার সিস্টেম, পানি ফুটানোর সোলার সিস্টেম, রেলওয়েতে সিগন্যালের জন্য সোলার সিস্টেম, যোগাযোগ ব্যবস্থায়, নৌ-পথে লাইটিং সিস্টেম। কিন্তু গুরম্নত্বপূর্ন প্রজেক্ট যা রহিমাফরোজ হাইলাইট করেছেন তা হলঃ চ্যারফ্যাশন এবং মনপুরা দ্বীপে সোলার পাওয়ার টেলিফোন এঙ্চেঞ্জ।ফিনল্যান্ড সরকার এবং টি এন্ড টি বোর্ডের মিলিত ফিন্যান্স ব্যবস্থাপনায় উপকূলবর্তী এলাকায় চারফ্যাশন এবং মনপুরা দ্বীপে ১.২ কিলোওয়াট পি সোলার ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম তৈরী হতে যাচ্ছে। যা এ সব জায়গায় টেলিফোন এক্সঙ্চেঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ঝিনাইদহের শকুল্পাই এসি পাওয়ার জেনারেশন কেন্দ্রীভূতঃ এই প্রজক্টটিতে গ্রাম্য বাজারকে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। ঐ সব এলাকার মানুষের মূল আয় হয় মেলা হতে। ঐ সব জায়গায় ৫০টি এনার্জি সেভিং লাইট বাজারে, দোকান-গুলোতে ১২ ওয়াট এনার্জি সেভিং লাম্প, হাসপাতাল, মসজিদ এবং কারখানা গুলোতে এসি সোলার পাওয়ার পস্নান্ট তৈরী করা হচ্ছে। যেখানে একজন মানুষ ঐ সিস্টেমটি চালনায় থাকবে। ঢাকার রাস্তায় সোলার ইলেক্ট্রীক গাড়ী- বোরাক সুপারঃ ঢাকায় রিনিউয়েবল এনার্জি ব্যবহার করে তিন-চাকার একধরনের ব্যাটারী চালিত গাড়ী বের হয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাহনটিকে বোরাক সুপার নামে নামকৃত করা হয়েছে, যেখানে সোলার প্যানেল যুক্ত রয়েছে এবং এটি ব্যাটারীকে ২০ শতাংশের বেশী চার্জ করতে পারে। বাংলাদেশ সোলার এনার্জি সোসাইটি বলছে এটি ঢাকার রাস্তায় অনেক এনার্জি সঞ্চালন এবং পরিবেশ বান্ধব হবে।গভর্নমেন্ট যদি একে সাহায্য করে তাহলে এটির সম্ভব্যতা অনেক বেড়ে যাবে। এটি বিদ্যুৎ বাঁচাবে এবং যাতায়াতে সাশ্রয়ী হবে। এনার্জি এবং দূষণের অবস্থার দিকে তাকালে এটিকে সবচেয়ে সহজ ও অপরিহার্য মনে হবে। জিরো-ইমিশনের গ্রীন পরিবেশ বান্ধব গাড়ী গুলো ঘন্টায় ৪০ কি.মি. গতিতে এ সর্বোচ্চ ১২০ কি.মি চলতে পারে। সূর্য না উঠলে এটি ৮ ঘন্টারবেশী চলতে পারে সূর্যনাউঠলে একে ৮ ঘন্টা চার্জ করতে হয়। কিন্তু অন্যদিকে বোরাকে এমনই কার্যক্রম ব্যাটারী ও অটোমেটিক গিয়ারবক্স লাগানো হয়েছে যা ১৮ মাস পর্যন্ত চলতে পারবে। এই বাহন টির দাম রাখা হয়েছে ১,২০,০০০ টাকা।
এলাইড সোলার
দেশের ক্রমবর্ধিত বিদ্যুৎ চাহিদা ও বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত সৌর বিদ্যুৎ বিষয়ক সিদ্ধানত্দকে এগিয়ে নিতে এলাইড সোলার এনার্জি লিমিটেডের আত্মপ্রকাশ। এ লৰ্যে এলাইড সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, চার্জ কন্ট্রোলার, ইনভার্টারসহ প্রয়োজনীয় সকল এঙ্সেরিজ আমদানি করে তা বাজারজাত করে। ইতিমধ্যে এলাইড সোলার গাজীপুর ইসলামিক ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি অফিসে ২ কিলোওয়াট, কুমিলস্না দারম্নস সালাম মসজিদ ও মাদ্রাসাতে ৫ কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপনসহ অনেক এসি সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করেছে।এছাড়া সৌর বিদ্যুৎকে উৎসাহিত করতে এলাইড সোলার তাদের অফিসের ফ্যান ও লাইটের চাহিদা মেটাতে ৩ কিলো ওয়াট সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করেছে। দেশের বিদ্যুৎ বিহীন প্রত্যনত্দ সকল শ্রেনীর জনগোষ্ঠির জন্য এলাইড সোলার ৩ ওয়াট পিক থেকে ১২০ ওয়াট পিক পর্যন্ত ডিসি সোলার হোম সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন করেন। এছাড়া যে কোন আকারের এসি বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করেন। এলাইড সোলারের স্টকে ২০ ওয়াট থেকে ২৫০ ওয়াট পর্যন্ত প্যানেল, ২ ভোল্টের ব্যাটারি ১০ কিলোয়াট পর্যন্ত ইনভার্টার, ১০০ এম্পেয়ার পর্যন্ত চার্জ কন্ট্রোলার, সোলার ওয়াটার হিটার, সোলার মোলাইল চার্জার, সোলার ক্যাম্পেইন লাইটসহ সকল প্রকার সৌর বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় এঙ্সেরিজ আছে। দেশে সৌর বিদ্যুতের অত্যাবশকীয় উপাদান ব্যাটারির সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করে এলাইড সোলার গাজীপুরে ব্যাটারি ফাক্টরী স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি ল্যাম্প তৈরীর প্রক্রিয়া। বিসত্দারিত যোগাযোগঃ এলাইড সোলার এনার্জি লিঃ, ফোনঃ ০১৭৩০৭৩৫৩০০।
এবার ইনফ্রাসট্রাকসার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড (আইডিসিওএল) সমন্ধে জেনেনিই :
আইডিসিওএল এর সোলার প্রোগ্রাম কি?
রুরাল ইলেক্ট্রীফিকেশন এবং রিনিউবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এর একটি প্রজেক্ট সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) আইডিসিওএল প্রচার করছে যা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজন্সী, গ্লোবাল এনভার্নমেন্ট ফ্যাসিলিটি, কেএফ ডব্লিউ এবং জিটি জেড এর দ্বারা ফিন্যান্স করা হচ্ছে। আইডিসিওএল কতগুলো পার্টনার অর্গানাইজেশনের (পিও) সাথে প্রোগ্রামটি করছে। এই পিও গুলো বাড়ি এবং বিজনেসের কাজে সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) বিক্রয় করছে। আইডিসিওএল এই ফ্যাসিলিটিতে ফাইন্যান্স করছে। এই প্রজেক্টের মধ্যমে পিও গুলোর এবং সাধারন গরীব মানুষের উন্নতি সাধন হচ্ছে।আইডিসিওএল ২০০৫ এ ৫০,০০০ সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) ইনস্টল করেছিল যা পর্যায়ক্রমে বাড়াচ্ছে। ২০০৯-এ এই সংখ্যা ২,০০,০০০-এসে দাড়িছে।
আপনি কিভাবে একজন এসএইচএস পার্টনার অর্গানাইজেশন হবেন?
আইডিসিওএল এর এসএইচএস প্রোগ্রামের আওতায় তিন ধরনের পিও রয়েছে। যেমন- সাপ্লাইয়ার পিওঃ একটি পিও যারা এসএইচএস এর দ্রব্যাদি সাপ্লাইয়ার দেয় এবং বিক্রয়ের পর এর প্রোডাক্ট এলাকা প্রোভাইড করে, ল্যানডার পিওঃ যে পিও এসএইচএস এর জন্য লোন দেয় আবার যারা বিক্রয়ের পর সার্ভিস প্রোভাইড করে তারা হল সাপ্লাইয়ার এন্ড ল্যানডার পিও। পিওএর কাজ হল প্রোডাক্ট এরিয়া সিলেক্ট করা, কাস্টমারদের পটেনশিয়াল করা, লোন দেওয়া, সিস্টেমটি স্থাপন করা এবং বিক্রীর বাসা-বাড়িগুলোতে প্রোভাইড করা। আইডিসিওএল প্রথমে অনেক পিওদের ইনভাইট করে তারপর তাদের বাড়িকে সিলেক্ট করে আইডিকলের সাথে পার্টিসিপেশন এগ্রিমেন্টে এর মাধ্যমে সোলার প্রোডাক্ট এর কাজ শুরু করে।
আপনি কিভাবে আইডিসিওএল সোলার প্রোগ্রামে যন্ত্রাদি তালিকাভূক্ত করবেন?
নিচের নিয়মগুলো মেনে আইডিসিওএল সোলার প্রোগ্রামে প্রোডাক্ট তালিকাভূক্ত করা যায়, এসএইচএস যন্ত্রপাতি সাপ্লাইয়ারদের ফটোভলটেইক মডিউলের জন্য টেকনিক্যাল স্পোসিফিকেশন এবং আইডিসিওএল টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড কমিটি হতে অন্যান্য এসএইচএস যন্ত্রাদির জন্য সাক্ষাত করতে হবে। টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড কমিটি (টিএসসি) ইউনিভার্সিটি, রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন বোর্ড, লোকাল গর্ভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এবং আইডিসিওএল হতে মেম্বার নিযুক্ত করে। আগ্রহী সাপ্লাইয়ারদের টিএসসি এর কাছে তাদের যন্ত্রাদির বর্ননা দিতে হয় এবং অপেক্ষা করতে হয়। টিএস.সি সেগুলো পরীক্ষা করে একজনকে নিযুক্ত করে, আইডিসিওএল হতে নিশ্চিত করা হলে সাপ্লাইয়ার তার যন্ত্রাদি পিও এর কাছে বিক্রী করতে পারে।
গ্রামীন শক্তিঃ
গ্রামীন শক্তি সংস্থাটি ১৯৯৬ থেকে ঐ সব গ্রামীন এলাকা গুলোতে সোলার পাওয়ার এর সাপ্লাই শুরু করেছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত তারা অনেক ধীর ভাবে এগোচ্ছিল কিন্তু ইউএসইএড এসে প্রজেক্টটিকে সবার সামনে আরও ভালভাবে তুলে ধরেছে। এর পর হতে প্রজেক্টটি আশ্চর্য্য জনক ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছিল। গ্রামীন শক্তি ২০০৭ সালে ১ মিলিয়ন ইউনিট সোলার সেল মানুষকে সাপ্লাই করেছে এবং এর ব্যবহারে মানুষ বিভিন্ন ভাবে সাফল্যের মুখ দেখেছে। বর্তমানে এই প্রজেক্টটি বিশাল আকার ধারন করেছে। অনেক মানুষ এই প্রজেক্টটিতে কাজ করছে শুধুমাত্র দূরবর্ী এলাকাগুলোতে সোলার পাওয়ার এর মাধ্যমে সাধারন মানুষকে বিদ্যুৎ সেবা দিতে।
ইলেক্ট্রোকম টেকনোলজিস লিঃ
এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে বড় ধরনের সোলার প্রজেক্ট স্থাপনের সামর্থ ও ক্ষমতা। মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান রবি'র দু দুটি সোলার প্রজেক্ট এর কাজ সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিটি সাত কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ দুটি প্রজেক্টের অবস্থান নোয়াখালির হাতিয়া থানায়। এভাবে দেশের আনাচে কানাচে আরও অনেক প্রজেক্টের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। যোগাযোগঃ ০১৭১৮-২৬২৬৪৫, ৯৩৩৮১৫৯।
নেক্সট পাওয়ার লিঃ
নেক্সট পাওয়ার এর মূল উদ্দেশ্য বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে পড়ে থাকা মানুষদেরকে আলোকিত করা। নেক্সট পাওয়ার বর্তমানে নওগাঁ, নরসিংদী, বি-বাড়িয়া, ফেনী, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, বগুড়া ও টাঙ্গাইলে অবস্থিত ব্রাঞ্চ অফিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। নেঙ্ট পাওয়ার বাণিজ্য মেলা-২০১১ এবং হোটেল শেরাটনে আয়োজিত সোলারটেক মেলায় সফলভাবে অংশগ্রহন করছে। নেক্সট পাওয়ার নিজস্ব কারখানায় সৌর বিদ্যুতের সাথে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরন যেমন- সোলার চার্জ কন্ট্রোলার, সোলার এলইডি টিউব লাইট, এলইডি বাল্ব, মোবাইল চার্জার উৎপাদন করে। সৌর বিদ্যুতের সাথে ব্যবহৃত লীড এসিড ব্যাটারী বগুড়ায় নিজস্ব ফ্যাক্টরী উৎপাদন করে, যা বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গৃহীত একটি মহৎ উদ্যোগ। ইতিমধ্যে বহুল সংখ্যক সোলার হোম সিষ্টেম, সোলার বানিজ্যিক সিষ্টেম ও সোলার লাইটিং সিষ্টেম অত্যনত্দ সফলভাবে স্থাপন করেছি এবং অনবরত করে যাচ্ছি। এছাড়াও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের প্রয়াসে শহরেও সৌরবিদ্যুতায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে নেক্সটপাওয়ার এর অভিজ্ঞ প্রকৌশলী বৃন্দ। যোগাযোগ ০১৬১২৯৪২২০৪।
ইনজেন টেকনোলজি লিমিটেড:
বাসাবাড়িতে ব্যাবহারের জন্য ইনজেন টেকনোলজি ১০ ওয়াট থেকে ৮৫ ওয়াট পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ সরবরাহ করে থাকে। এসব প্যাকেজ এর মূল্য ৯,৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০,৭০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানটি সোলার প্যানেলে দিয়ে থাকে ২০ বছরের গ্যারান্টি। ব্যাটারিতে ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে যথাক্রমে ৫ ও ৩ বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। যোগাযোগঃ ০১৭৩০-৩৫৯৫৩৯।
ফুজিতসু বাংলাদেশ লিমিটেড :
ফুজিতসু বাংলাদেশ লিমিটেড বিভিন্ন সোলার পন্যের জন্য বিখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে সোলার সিস্টেম নিয়ে কাজ করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বহনযোগ্য/অবহনযোগ্য বিভিন্ন রকম জেনারেটর সরবরাহ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ফোনঃ ৭১২৩৫৫২, ৭১১১৩০২।
ইনোভেটিভ টেকনোলজি :
বিভিন্ন ধরনের সোলার ও বিদ্যুতিক পন্য প্রস্তুত করে থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি সোলার চার্জ কন্ট্রোলার সোলার মোবাইল চার্জার, সোলার লাইট ইত্যাদি পন্য সরবরাহ করে থাকে। যোগাযোগঃ ০১৭১৩-০০৭৪৯০, ৮০৩৪৩২১।
ইকো পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (ইপিসিএল)
"আলোক উজ্জ্বল বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য"। এ শেস্নাগানকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু ইপিসিএল এর। এটি মূলত সোলার এনার্জি সিস্টেম এবং উয়িন্ডি এনার্জি সিস্টেম নিয়ে কাজ করে থাকে। ইপিসিএল বাংলাদেশ এবং স্পেন এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। কিলোওয়াট থেকে শুরু করে মেগাওয়াট পর্যন্ত যে কোন পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ন এ প্রতিষ্ঠানটি সোলার, উয়িন্ডি বা ট্রাংকি (আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ ) ভিত্তিক বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহের ব্যাপারে আগ্রহী।যোগাযোগঃ ০১৭১১-৫২৬৯১৪, ৮৬২১৭৪৬।
আভা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি
দেশের প্রত্যন্ত দুর্গম পল্লী অঞ্চলে, যেখানে জাতীয় গ্রীড আদৌ পেঁৗছায়নি, সেখানে বসবাসকারী লোকজনের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আভা ডেভেলপমেন্ট। এর সৌর বিদ্যুৎ কার্যক্রম চলছে দেশের ১২টি জেলায় ৪০ টি ইউনিট অফিসের মাধ্যমে। সোলার ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বায়োগ্যাস, বন্ধুচুলা ইত্যাদি কর্যক্রম।প্রয়োজনেঃ ০১৭১২৩৩৫৫১৬, ৭৭৮৮৮৭৯।
সোলার প্যাক
সোলার প্যাক, বিভিন্ন ধরনের সোলার সামগ্রী আমদানীকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, সোলার প্যানেল ছাড়াও এর রয়েছে সোলার হোম সিস্টেম, সোলার স্ট্রিট লাইট, সোলার আউটডোর লাইট, সোলার মোবাইল চার্জার ইত্যাদি পন্য। যোগাযোগ: ০১৮১৯২৪৭৪৫৬,০১৭১৫৬৬২৫৪৬।
সোলার বাংলাদেশ
মাত্র ৪৫০ টাকায় ৩ ওয়াট বিশিষ্ট সোলার লাইট বিক্রয় করছে সোলার বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিভিন্ন ধরনের সোলার লাইটিং ব্যবস্থা সরবরাহ করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোলারে এনিমেশন লাইটিং, বিলবোর্ড লাইটিং, ডেকেরেশন লাইটিং ইত্যাদি। যোগাযোগঃ ০১৯১১২৪৪৩৩৩।
সনোস এনার্জি সেভিং টেকনোলজি
সঠিক ভাবে বিক্রয়োত্তর সেবার মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতার সুন্দর সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখে ১৯৯৭ সাল থেকে আজও বাজারে সনোস এর দৃড় অবস্থান। সনোস দিচ্ছে যেকোন পন্যে ১৪ মাসের গ্যারান্টি। বিভিন্ন ধরনের সোলার সিস্টেম ও এলইডি লাইট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী ডিলার নিয়োগ দিচ্ছে। যোগাযোগঃ ০১৮১৭৭১৩৪৬৭।
ঢাকা সার্ভিস কোম্পানী
বড় বা মাঝারি ধরনের সোলার সিস্টেম এর জন্য ঢাকা সার্ভিস কোম্পানি একটি অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এর বেশকিছু পন্যের মধ্যে রয়েছে সোলার স্ট্রিট লাইটিং, সোলার পাওয়ার পাম্প, সোলার এসি ফ্রিজার, সোলার হোম সিস্টেম ইত্যাদি। যোগাযোগঃ ০১৭৩২৬৮৩০৬৯।
ব্রাইট ইলেক্ট্রিক সেভার টেকনোলজি লিঃ
জাতীয় গ্রীড থেকে বঞ্চিত দেশের ৬৭% জনগনকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে ব্রাইট ইলেক্ট্রিক সেভার টেকনোলজি লিঃ; (বেষ্ট)। সোলার এনার্জি ছাড়াও এর অন্যান্য প্রজেক্টের মধ্যে রয়েছে মিনি গ্রিডস, হাইব্রিড মিনি গ্রিডস এবং বহু প্রজন্ম বিশিষ্ট যৌগিক সোলার এনার্জি সিস্টেম। ক্রয় ৰমতার মধ্যে গুনগত মানবিশিষ্ট্য সোলার এনার্জি সিস্টেম সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গ্রাহকদের সন্তুুষ্টি অর্জন করেছে।যোগাযোগঃ ০১৬৭৬৭৩৪৬০৬।
গ্রীন এনার্জি সলূশন লিঃ
এই প্রতিষ্ঠান সোলার প্যানেল, সেলার ব্যাটারি, চার্জ কনট্রোলার, ইনভার্টার, সোলার ব্যাকআপ সিস্টেম, পাওয়ার সিস্টেম অর অফ গ্রীড এরিয়া,সোলার ইরিগেশন পাম্পস, উইন্ড পাওয়ার সিস্টেম, সোলার উইন্ড হাইব্রিড সিস্টেম ইত্যাদি বাজারজাত করছে। গ্রাহকের কাছে পৌছানের আগে এই সকল পন্য সামগ্রীর গুনগত মান নিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগঃ ৮৮০-৪৪৭৭১৫৬২৮৭।
উত্তরণ টেকনোলজি
মাত্র ৩৫০ টাকা হতে শুরু করে বিভিন্ন দামে সোলার সিস্টেম সরবরাহ করে থাকে উত্তরণ টেকনোলজি। এছাড়া উত্তরনে রয়েছে চার্জ কন্ট্রোলার, ব্যাটারী ব্যাংক, ইনভার্টার ইত্যাদি বিপনন এর ব্যাবস্থা, যোগাযোগ: মোবাইল: ০১৭২৯০৯০৪৩৫।
ডিজিটাল টেকনোলজি
দেশের অন্যতম সোলার পন্য বিপননকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল টেকনোলজি। ৩ ওয়াট এর সোলার ডিসি লাইট,এসি সোলার পাওয়ার আউটপুট ইনভার্টার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানটির মূল পন্য। দেশজুড়ে ডিলার নিয়োগ চলছে। যোগাযোগঃ ০১৭১৩৩৬৬১৭৪।
আকাশ সোলার
আমাদের দেশে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান সোলার হোম সিস্টেম সর্বরাহ করে থাকে তাদের মধ্যে আকাশ সোলার অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত দশটিরও অধিক কোম্পানী আকাশ সোলার এর সোলার এনর্জি সিস্টেম ব্যবহার করছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ঢাকা, বরিশাল, নেত্রকোনা, আশুলিয়া, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০০০ ওয়াটেরও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্রকল্প স্থাপন করেছে। যোগাযোগঃ ০১৯১১-১৭৭৭৮৮, ৮৬১১৭৭৮।
পরিশেষে, আধুনিক বিশ্বের উন্নয়শীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সোলার শক্তি একটি বিশাল অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা, নতুন ইন্ডাষ্ট্রি ও নতুন টেকনোলজীর জন্য আমাদের বিকল্প শক্তির প্রয়োজন। বাংলাদেশে এই বিকল্প এনার্জি ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছে। বিশ্ব বাজারে টিকে থাকার জন্য আমাদের ইন্ডাষ্ট্রীগুলোর চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি আমাদের বাসা-বাড়ি গুলোতেও যদি বিকল্প কোন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে তাদেরও এত কষ্ট করতে হবে না। সাথে বিদ্যুতের বিলের মত এত টাকাও পরিশোধ করতে হবে না।

Date: 12-02-2011

No comments:

Post a Comment